ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

সংঘাতে ঝুঁকির মুখে ইসরায়েলের প্রযুক্তি খাত

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০৯, ২০২৩, ০৭:১২ বিকাল  

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে পরিচালিত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ইসরায়েলে প্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তারা ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের বিষয়টিতে গভীরভাবে নজর রাখছেন ও সেখানকার কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

সোমবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বেশ কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল খাত হল ‘হাই-টেক’ শিল্প। ইসরায়েলের সামগ্রিক কর্মীর ১৪% ও স্থানীয় উৎপাদনের এক পঞ্চমাংশে ভূমিকা রাখে এ সেক্টর। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এই খাতটি গুরুত্বপূর্ণ। হামাসের আক্রমণের পর রবিবার ইসরায়েলের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারমূল্য কমে যায়।
এ অবস্থায় এই খাতের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানালেন বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকেরা।

বিনিয়োগ কোম্পানি ‘ক্রিসেট ওয়েলথ অ্যাডভাইসরস’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রধান জ্যাক অ্যাবলিন বলেছেন, স্বাভাবিকভাবেই এটা (যুদ্ধাবস্থা) ব্যবসায়িক খাতে বড় বাধা। সংঘাত বাড়লে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থান বন্ধ হতে পারে। প্রযুক্তি খাতের কর্মীরা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিলে এটি হতে পারে।

মার্কিন বিনিয়োগ কোম্পানি ‘এলপিএল ফাইনান্সিয়াল’র বৈশ্বিক পরিকল্পনা প্রধান কুইনসি ক্রসবি বলেন, প্রযুক্তি খাতের আয়ের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততা থাকায় আশা করি, দেশটির বিভিন্ন কোম্পানির ভৌত অবকাঠামো রক্ষায় ‘প্রচেষ্টা’ চালানো হবে।

ইসরায়েলের প্রাইভেট খাতে সবচেয়ে বড় নিয়োগকারী ও চিপ নির্মাতা কোম্পানি ইনটেলের মুখপাত্র বলেন, তারা ইসরায়েলের বিষয়টিতে গভীরভাবে নজর রাখছেন ও সেখানকার কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

মেটা, গুগল ও অ্যাপল, মাইক্রোসফট-এ বিষয়ে রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ বছর মন্দার মুখে পড়ে ইসরায়েলের প্রযুক্তি খাত। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিক্ষোভের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়। এখন সংঘাত আরো দীর্ঘস্থায়ী হলে তা দেশটির প্রযুক্তি খাতের জন্য মোটেই মঙ্গলজনক হবে না।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা করে হামাস। একযোগে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে তারা। এর অল্প সময়ের ব্যবধানে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই পক্ষের হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

হামাসের এই হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকাকে ‘জনমানবশূন্য দ্বীপে’ পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর মধ্যে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের জন্য গাজা সীমান্তে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে গাজার বাসিন্দাদের আবারও ভয়ানক মানবিক সংকটের মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বলেছে, ইসরায়েলি হামলার জেরে গাজা উপত্যকায় ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

দৈনিক সরোবর/এএস