ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

হঠাৎ আলুশূন্য ফড়িয়াপট্টি

বরিশাল প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ০৪:০১ দুপুর  

বরিশালে আড়তগুলো হঠাৎ করেই আলুশূন্য হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকালে নগরীর ফরিয়াপট্টির আড়তে গিয়ে কোনো আলু পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা জান, দুদিন ধরেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তারা জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা আলু বিক্রি করছেন না বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মুদিদোকানিরা আলু কিনতে পারেননি। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।

বরিশাল নগরীর ফড়িয়াপট্টির এক আরতদার বলেন, দুদিন ধরে বরিশালের আড়তে আলু আনছেন না ব্যাপারীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই আগের রাখা আলু শেষ হয়ে গেছে। সরকার নির্ধারিত দামে আলু না পাওয়ায় ব্যাপারীরা আলু কিনছেন না। তাই আমার আড়তও শূন্য। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে তাও বলতে পারছি না। এমনিভাবে চলতে থাকলে আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

ফড়িয়াপট্টির আরেক আড়তদার বলেন, এখানকার বেশিরভাগ ব্যাপারী মুন্সিগঞ্জের। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রিতে স্থানীয় আড়তদাররা অপারগতা প্রকাশ করলে তারা এখান থেকে চলে যান। এ অবস্থায় হিমাগারে দাম নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।

একাধিক আলুর ব্যাপারী ও আড়তদার জানান, রাজশাহী বা মুন্সিগঞ্জের কোনো কোল্ডস্টোরেজ থেকে সরকার নির্ধারিত ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা ব্যাপারীদের কাছে যে দাম চাচ্ছে তাতে পরিবহন ও শ্রমিক খরচসহ কেজি প্রতি ৪০ টাকা খরচ হয়ে যাবে। পাশাপাশি দাম বেশি নিলেও কম দাম উল্লেখ করে ভাউচার দিতে চান কোল্ডস্টোরেজের মালিকরা। ব্যাপারীরা এতে রাজি হচ্ছেন না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালালেও ব্যাপারীদের ক্রয় রসিদ দেখে চলে আসছেন। কারণ ব্যাপারীরা বলছেন অধিক দামে আলু কিনতে হয়। কোল্ডস্টোরেজের মালিকরা কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে সরকারি রেট মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে আলু সরবরাহ ঠিক না থাকায় আড়তশূন্য হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আলু নেই যে তা নয়, সরবরাহ কম। তবে তা দু-একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

দৈনিক সরোবর/এএস