ঢাকা, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে চাষিরা

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২, ১১:১৫ রাত  

ফাইল ফটো

খরা ও অনাবৃষ্টিতে ফলন ভালো হলেও সোনালি আঁশ ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক। পানির অভাবে তারা পাট জাগ দিতে পারছেন না। অতিরিক্ত খরায় খেতে পাট শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকে পুকুর ভাড়া করে জাগ দিচ্ছেন। ফলে খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে আঁশের মানও। তাই ভালো ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে।

তারা বলেন, পানি স্বল্পতার কারণে আমরা পাট জাগ দিতে পারছি না। পাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্লুইস গেটগুলো খুলে দিলে পানি আসতো। অন্যের মেশিন থেকে পানি দিয়ে পাট ভেজানোয় অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে।

চাষিরা আরো বলেন, পানি না থাকায় পাট কাটতে পারছি না। জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। উপায় না পেয়ে কিছু পাট কেটে ডোবা-নালার নোংরা পানিতে জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আবার বাড়তি টাকা খরচ করে পুকুর ভাড়া নিচ্ছি।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে চাষিদের নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি। পাশাপাশি কৃষক যেন পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে কাদা-মাটির পরিবর্তে ইট কিংবা ভারি কোনো বস্তু ব্যবহার করে সেই বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।  

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, আমরা কথা বলেছি খুব শিগগিরই পানি সরবরাহের ব্যবস্থা হচ্ছে। নিয়মিত বৃষ্টি হলে চাষিদের পাট পচাতে সমস্যা হবে না।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হজরত আলী বলেন, কৃষকদের সহযোগিতা করার জন্য কৃষি বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে কুমার নদের স্লুইসগেটগুলো খুলে দিয়েছি।

এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ফরিদপুর, ঝিনাইদহ ও নাটোরেই পাট চাষ হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে। সময়মতো সঠিকভাবে পাট জাগ দিতে পারলে মুনাফা ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

দৈনিক সরোবর/এমকে