ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

পুলিশি ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয় 

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৮:১৭ রাত  

সমকালের প্রধান শিরোনাম-পুলিশের জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে ভাটা।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থা এখনও পুরো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বাহিনীটিকে। বন্ধ আছে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমও। ওপেন হাউস ডে ও উঠান বৈঠকের মতো কার্যক্রম সেভাবে দৃশ্যমান নয়। ফলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ-পুলিশ ইতিবাচক সম্পৃক্ততার কর্মকাণ্ডে ভাটা দেখা দিয়েছে। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জনগণের সঙ্গে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের সম্পর্ক আরও সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশিষ্টজনরা। জনগণের সঙ্গে পুলিশের ভঙ্গুর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে এমন কার্যক্রম ভালো ফল আনতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও জনমুখী ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে আইনি কাঠামোর কথাও বলা হয়েছে।

অনির্বাচিতদের দেশ চালানোর অপচেষ্টা দেখছে বিএনপি—আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়ে পাঠানো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালার কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আজ রোববার মতামত জমা দেবে বিএনপি। তার আগে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন তুলে দলটি।

এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদেরা অপাঙক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদেরই দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।'

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এনসিপির প্রস্তাবিত গঠনপ্রক্রিয়া ও কার্যপরিধিতে যা বর্ণনা করা হয়েছে , তাতে সব স্তরে স্তরে দেখা যায় অনির্বাচিত বিভিন্ন ব্যক্তি এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন এবং সাংবিধানিকভাবে তাদের ক্ষমতায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের পথে সরকার—কালের কণ্ঠের প্রধান খবর এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি ও রাষ্ট্রের সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত 'সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ' বাস্তবায়ন করে দ্রুত নির্বাচনে যেতে পারে সরকার। কারণ, রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যেসব প্রস্তাব রেখেছে, তাতে ইতিবাচক জবাবের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশও ঘটছে। সে ক্ষেত্রে সংস্কার প্যাকেজ সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এদিকে, নির্ধারিত সময়ের (২০ সেপ্টেম্বর) আগেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। গত ১৭ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা এরই মধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।

রাজনীতিবিদদের 'অপাঙক্তেয়' করে অনির্বাচিতদের 'ক্ষমতায়নের' প্রচেষ্টা দেখছে বিএনপি—সংবাদের প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর মতামত চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালার কিছু বিষয়ের ওপর প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। অভিযোগও করেছে কিছু বিষয়ে। দলটি বলছে, এসব সুপারিশে রাজনীতিবিদদের 'অপাঙক্তেয়' করা হয়েছে। পক্ষান্তরে, অনির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে 'দেশ পরিচালনার সুযোগ তৈরি করা হিতকর' হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সুপারিশমালার কিছু প্রস্তাবে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের 'অযোক্তিক' প্রচেষ্টা রয়েছে অভিযোগ করে এই প্রচেষ্টাকে অনভিপ্রেত বলছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানিয়েছেন, আগামীকাল রবিবার কমিশনের কাছে লিখিত মতামত জমা দেওয়ার সময় দলের বিস্তারিত বক্তব্য জানানো হবে।

মানবজমিনের প্রধান খবর—জুলাই অভ্যুত্থানের আহত-শহীদদের নাম অন্তর্ভুক্তি বন্ধ।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রকাশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) গত ১৯ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। তবে, সারাদেশে এখনো প্রায় ৩০ শতাংশ আহত ও শহীদের নাম এমআইএস-এ অন্তর্ভুক্ত হয়নি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এমআইএস ওয়েবসাইটে নাম অন্তর্ভুক্তি না করার কারণে কোনো সহায়তাই পাচ্ছেন না তারা। এতে চিকিৎসা খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া, মাঠ পর্যায়ে ভেরিফিকেশনসহ সকল কাজ সম্পন্ন হলেও সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক পরিবার। তারা দ্রুত এমআইএসে নাম অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি তুলেছেন।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, এমআইএস-এ নাম না থাকলে নতুন করে যারা আসছে, তাদের আমরা কোনো সহায়তাই দিতে পারি না। সরকারকে এটা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত এমআইএস চালু করার দাবি জানান তিনি।

লম্বা ছুটিতেও ভোগান্তির শঙ্কা—আজ প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি।

খবরে বলা হচ্ছে, এবার ঈদুল ফিতরে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা স্বস্তির হওয়ার প্রত্যাশা সরকারের। কিন্তু দেশের দুটি মহাসড়কে উন্নয়নকাজ, অব্যবস্থাপনা ভোগান্তির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। বিশেষ করে ঈদের আগের দুই দিন যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে আর ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকলে তা যানজটে রূপ নিতে পারে।

এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। তাই কোথাও কোথাও সড়ক সরু হয়ে পড়েছে। কোথাও আবার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই পথে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। টাঙ্গাইল-রংপুর পথে চার লেনের কাজ চলছে ছয় বছর ধরে। বিশেষ করে যমুনা সেতুর আগের অংশের কাজ এখনো চলমান। ঈদের শেষ চার দিনে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের মতো যানবাহন চলাচল করে। ফলে ভোগান্তির আশঙ্কা এই পথেও আছে।

এছাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন মহাসড়কের নানা স্থানে দুই পাশেই অবৈধ দখলদারদের কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে ব্যবস্থাপনার ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে যানজট। এর বাইরে মহাসড়কে ডাকাতি এবার ঈদযাত্রায় নতুন শঙ্কা যোগ করেছে।

এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা, নেই প্রস্তুতি—ইত্তেফাকের প্রধান খবর এটি।

এতে বলা হয়েছে, শুরু হয়েছে গরম। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত সময় এখন। এপ্রিল থেকেই এই অবস্থা আরো বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত বর্ষার আগে থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।এ বছর সরকারের আরো জোরালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। কিন্তু এ নিয়ে তেমন কোনো প্রস্তুতিই চোখে পড়ছে না। তাই এবার পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে, ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করলেই প্রতি বছর অভিযানে নামে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর আগে ডেঙ্গুর জন্মস্থান ও ডেঙ্গু দমনে পূর্বপ্রস্তুতি থাকে না কারোই। এতে পরিপূর্ণ মশা মেরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখা কমানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত ডেঙ্গু কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এপ্রিল না হলেও জুন-জুলাইয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি বাড়ে সেটি মাথায় রেখে তারা এগুচ্ছেন। ঈদের পর সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হবে।

No room for AL in politics: NCP, অর্থাৎ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কোনো স্থান নেই: এনসিপি। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।

খবরে বলা হয়েছে, গত জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশজুড়ে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলটি আয়োজিত এক সমাবেশে দলটির নেতারা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের আহ্বান জানায়। এনসিপি নেতারা বলেছেন, জোরপূর্বক গুম, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ভারতবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই-অগাস্টে গণহত্যার বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটের অজুহাতে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন হতে দেয়া হবে না বলে পুনরায় দলটির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম— রেমিট্যান্স ও রফতানি বেড়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২ বিলিয়ন।

এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রেমিট্যান্সে প্রায় ২৭ শতাংশ, রফতানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান এ দুই উৎসের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতেও রিজার্ভ বাড়ছে না দেশে। আট মাস ধরে রিজার্ভের পরিমাণ ওঠা-নামা করছে ১৯ থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৭৩ কোটি বা ১৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। সে হিসাবে গত আট মাসে রিজার্ভ না বেড়ে উল্টো ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। কিন্তু এ সময়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় এসেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। এর মধ্যে গত অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর রফতানি আয় বেশি এসেছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়লেও মূলত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), বিদেশি অনুদান এবং মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমে যাওয়ার প্রভাবেই দেশের রিজার্ভ চাপে পড়েছে।

ব্যাংক গ্রাহকদের স্বার্থে হচ্ছে 'আমানত সুরক্ষা তহবিল'—নয়া দিগন্তের প্রধান খবর এটি।

এতে বলা হচ্ছে, গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক হিসাবের মাধ্যমে তহবিল পরিচালিত হবে। মোট সুরক্ষিত আমানতের আনুপাতিক হারে তহবিলের আকার নির্ধারিত হবে। প্রত্যেক আমানতকারীর জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষা আমানতের পরিমাণ হবে দুই লাখ টাকা।

'আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫' এর মাধ্যমে এই তহবিল গঠন করা হবে। দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও আর্থিক খাতের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে বিদ্যমান 'ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০' রহিত করে 'আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫' জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়নও করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য একটি পৃথক বিভাগও খোলা হবে।

দৈনিক সরোবর/ইএইচপি