ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন 

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল  

প্রথম আলোর প্রথম পাতার শিরোনাম- শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধিতে জোর যুক্তরাষ্ট্রের—এটি।

এতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজ নেতৃত্বে ঢাকা সফররত প্রতিনিধি দল গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছে দেশটি।

বাংলাদেশে কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন সহজ করা, ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো এবং শ্রমবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা ও শ্রম আইনের দ্রুত সংস্কার চায় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় উন্নতি আনার তাগিদ দেওয়া হলেও এতে উন্নতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি।

ঢালাওভাবে মামলা ও আটকের ঘটনায় দেশটি তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বৈঠকে। মামলাগুলো স্বাধীনভাবে তদন্ত করার কথা বলেছে তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম অসন্তোষ নিরসনে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগে দেওয়া ১৮ দফার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।

বৈঠক শেষে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে। শ্রম অধিকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার পরিস্থিতিও জুড়ে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম-দলগুলোর চাপে ইসি গঠন করেছে সরকার। এটি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের মন্তব্য।

নয়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বেশ চাপ এসেছিল। এমন অবস্থায় নির্বাচনের ট্রেন চলছে, তা ধারণা দিতেই ইসি গঠন করা হয়েছে বলে মত বদিউল আলম মজুমদারের।

তবে কোন দলের চাপে পড়ে সরকার কমিশন গঠন করলো, সে বিষয়ে তিনি কিছু স্পষ্ট করেননি। নতুন কমিশন নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন তিনি।

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেয়ার আগেই নতুন ইসি গঠনের বিষয়টিকে তিনি কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে গতকাল এক আলোচনা সভায় বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন কীভাবে হতে পারে, সংসদীয় নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নারী-প্রবাসীসহ ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এমন নাগরিকদের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটসহ ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকার বলে জানান বদিউল আলম মজুমদার।

ঋণের ধোঁকা দিয়ে সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক জমায়েতের চেষ্টা-নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম এটি।
বিনা সুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে ঢাকায় গণসমাবেশ করতে চেয়েছিল ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটর্ফম। গতকাল সোমবার শাহবাগে তাদের বিশাল গণজমায়েতের পরিকল্পনা ছিল। তবে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে এলে তা পণ্ড হয়ে যায়।

গতকাল বিষয়টি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। এটা নিছক কোনো গণজমায়েত নাকি ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা, এ নিয়েই ছিল সবার প্রশ্ন। সংগঠনটির আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীনের নেতৃত্বে এ গণজমায়েতের চেষ্টা চলে। তাকে এদিন সন্ধ্যায় আটক করেছে পুলিশ।

‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ এর মূল স্লোগান ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব’। সংগঠনটি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবিতে ২৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ঋণের কথা বলে লোক আনায় সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

বিভিন্ন জেলা থেকে এ গণজমায়েতের উদ্দেশে ঢাকায় আসতে চাওয়া অনেক লোক ও বাসকে পথিমধ্যে আটক করে ছাত্র-জনতা। এছাড়া, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও তাদের অনেককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

এই গণজমায়েতের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটকও করেছে পুলিশ। 

Press freedom under threat, says NOAB— অর্থাৎ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চরম আক্রমণের মুখে। নিউ এজের প্রথম পাতার খবর এটি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের প্রতি বিভিন্ন গোষ্ঠীর হুমকি ও হামলায় সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

নোয়াবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতার ওপর নানাভাবে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

নোয়াব মনে করে, কোনো পত্রিকার পরিবেশিত কোনো সংবাদ বা সম্পাদকীয় নীতিমালা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে লেখালেখির মাধ্যমে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ও বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু এভাবে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকতার চর্চা ও পরিবেশকে ব্যাহত করছে।

এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নোয়াব গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মব জাস্টিস কঠোর হাতে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায়।

জামায়াতের ২২ দফা প্রস্তাব কমিশনে-বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার একটি খবরের শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে ২২ দফা প্রস্তাব জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির প্রস্তাবনার মধ্যে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিলের মতো বিষয়গুলো এসেছে।

গতকাল সোমবার সংস্কার কমিশনের প্রধানের কাছে জামায়াত তাদের প্রস্তাব জমা দেয়।

দলটির প্রস্তাবনায় আরো রয়েছে, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করা। গ্রহণযোগ্য, নির্ভুল ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা তৈরি করা। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করা। নির্বাচনকালে সরকারের সব প্রশাসনিক কার্যক্রমে নির্বাচন কমিশনের নজরদারির সুযোগ রাখা। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের যে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন সম্পূর্ণ বা আংশিক বাতিল বা স্থগিত করার ক্ষমতা সংবলিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (ক) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা।

কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে মনোনয়নের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের মধ্য হতে ওই দলের নেতাকর্মীদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী মনোনীত করার ব্যবস্থা করার প্রস্তাবও দিয়েছে জামায়াত।
 
Won’t tolerate attack on media— অর্থাৎ গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না। দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর বা পত্রিকা বন্ধে চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোনো পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তা জানাতে পারে। তবে তা শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা আমরা সমর্থন করি না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে সহ্য করা হবে না।

ভাঙচুরের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তথ্য উপদেষ্টা।

কারও ক্ষোভ থাকলে তা শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশ করার আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।

মানুষের সভা-সমাবেশের অধিকার আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ''সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সেটার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর বিষয়ে জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে আমরা বিরত থাকব।''
 
আজ বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম-আদানির সবই ছিল গোপনীয়, প্রায় চার বছর অন্ধকারে ছিলেন বিপিডিবির কর্মকর্তারাও।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে হওয়া বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রায় সব বিষয়বস্তুই অত্যন্ত গোপন ছিল দীর্ঘদিন। বিপিডিবির সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দাবি, হাতে গোনা সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বাইরে এ চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই কিছু জানত না।

দীর্ঘ সময় গোপন থাকা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির একটি নথি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্টে ফাঁস হয়। এতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কয়লার দাম বেশি রাখাসহ এর বিভিন্ন অসম ধারার তথ্য প্রকাশ পায়। একপর্যায়ে কয়লার দাম ও ক্রয়পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

এছাড়া, বকেয়া পাওনা নিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের দেন-দরবারের বিষয়গুলো নিয়েও ব্যাপক মাত্রায় গোপনীয়তা বজায় রেখেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তির পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গ্রুপটির কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করেছেন। যদিও এসব সফরের বিষয়বস্তুর প্রকৃত তথ্য কখনোই গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।

আদানির সঙ্গে বিপিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি ও এর গোপনীয়তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

নিয়ম অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোয় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। আবার তা উভয় দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আদানিসহ বিদ্যুৎ খাতের অসম চুক্তিগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়।
 
‘মেগা মানডে’ ঘোষণা দিয়ে পালটা হামলা, রণক্ষেত্র মোল্লা কলেজ— যুগান্তরের আজকের প্রধান শিরোনাম এটি। এ সংক্রান্ত খবর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিকগুলো আজ গুরূত্ব দিয়ে ছেপেছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর হামলা ও ভাঙচুর চালানোর কথা এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মোল্লা কলেজের বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়।

পুলিশ বলছে, হামলার সঙ্গে স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত।

এদিকে, আগাম ঘোষণা দিয়ে মোল্লা কলেজে হামলার ৩ ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায়নি।

ভুল চিকিৎসায় মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে রোববার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই হামলার সুষ্ঠু সমাধানে নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়ে রবিবার ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সোমবার মোল্লা কলেজে পালটা হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, গত রবিবার ভাঙচুর, গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ আটক—মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর এটি।

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিকালে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে একটি মামলা রয়েছে।

তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ডিবি কার্যালয়ে সামনে জড়ো হন সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতারা। তখন তারা চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। তাদের একটি গ্রুপ শাহবাগে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে অন্য একটি পক্ষ ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ করে। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়।

আওয়ামী লীগের তিনবারের মন্ত্রী-এমপির সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি-সমকালের প্রথম পাতার খবর এটি।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ১৯টি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে–গত তিন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি এবং মন্ত্রীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপ দেওয়া হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র সংগঠনগুলো বসবে।

এছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠন আগামী এক সপ্তাহ ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালন করবে। এ সময় ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবে। তাদের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠন নিয়ে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠন করা হবে। এতে প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের দু’জন প্রতিনিধি থাকবেন। এই কাউন্সিলের আলোচনার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মপরিধি নির্ধারিত হবে। তবে এটির ফরম্যাট কী হবে, আগামী এক সপ্তাহ পর আরেকটি সভায় তা চূড়ান্ত করা হবে।

সূত্র:বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এসএফ