ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

বন্যার পানির ৯২ শতাংশই উজানের ঢল

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৮:৩২ রাত  

প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর- ভারতের কাছে তিনটি তথ্য চেয়ে পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বন্যার পূর্বাভাসের ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে তিন ধরনের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ।

প্রথমত, অভিন্ন নদীগুলোর উজানে কী পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই পানি কত গতিতে নিচের দিকে নেমে আসছে।

দ্বিতীয়ত, আগামী তিন দিনে বৃষ্টির পরিমাণ ও পানি বৃদ্ধির গতি কেমন হতে পারে।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশের উজানে ভারতীয় অংশের নদীগুলোয় যে ৬০টি বাঁধ রয়েছে, তা কোন সময়ে খুলে দেওয়া হবে এবং সেখান থেকে কী পরিমাণে পানি ভাটির দিকে আসতে পারে।

গত বছরের আগস্টের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য চাওয়া হয়। পরে একাধিকবার চিঠি দিয়ে একই তথ্য চাওয়া হলেও ভারত কোনো সাড়া দেয়নি। ভারত শুধু অভিন্ন নদীগুলোর ১৪টি পয়েন্টের পানি বৃদ্ধির তথ্য দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ চেয়েছিল ২৮টি পয়েন্টের বিস্তারিত তথ্য। ১৯৭২ সালের যৌথ কমিশন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এই একটি মাত্র তথ্য দৈনিক দুবার পায়। বাংলাদেশে বন্যার পানির ৯২ শতাংশের উৎস হচ্ছে উজান থেকে আসা ঢল।

ফলে উজান থেকে আসা পানির পরিমাণ, গতিবেগ ও ব্যাপ্তিকাল বিস্তারিত না জানলে বন্যার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। রোববার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সভা হয়। এ সভায় ফেনী ও কুমিল্লার বন্যার পূর্বাভাস নিয়ে আলোচনা হয় এবং ভারতের কাছ থেকে বন্যার পূর্বাভাসের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। চলতি মাসে যৌথ নদী কমিশনের যে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তা আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তার আগেই অভিন্ন নদ–নদীগুলোর পানির তথ্য চাওয়ার ব্যাপারে সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

কালের কণ্ঠের শিরোনাম-কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কখন নির্বাচন হবে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে, আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শপথ নেওয়ার দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন তিনি।

ক্ষমতায় মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা বিষয়ে সবাই জানতে আগ্রহী, কখন আমাদের সরকার বিদায় নেবে। এটার জবাব আপনাদের হাতে, কখন আপনারা আমাদের বিদায় দেবেন।

জিম্মি করে দাবি আদায় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এখনই সব দাবি পূরণ করার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যক্তিবিশেষকে হুমকির মধ্যে ফেলা, মামলা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা, বিচারের জন্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতে হামলা করে আগেই একধরনের বিচার করে ফেলার যে প্রবণতা তা থেকে বের হতে হবে। এছাড়া সংকটকালে দেশকে উত্তরণে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা খাত এবং তথ্যপ্রবাহে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পূর্ণ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করার কথা জানান। সমকালের প্রথম পাতার খবর-অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবে বিএনপি। প্রতিবেদনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চায় এবং সব ধরনের সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি। তবে সেটি হতে হবে যৌক্তিক সময়। রোববার বিকেলে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।  এর আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে হযরত শাহজালাল এবং হযরত হযরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস যোগ্য মানুষ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন বলে তিনি জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার দাবি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন শেখ হাসিনা কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ ৪৫ হাজার গায়েবী মামলা দিয়েছে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে তিনি জানান। মির্জা ফখরুল বলেন রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার তিনবার একতরফা নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।

ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করে আর কোন কাজ হবে না। ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্র চায়, স্বাভাবিক জীবন চায়।
 
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম-দুর্গত এলাকা লণ্ডভণ্ড নদীভাঙন ভয়াবহ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত ১১ জেলার মানুষের দুর্ভোগ, আতঙ্ক ও হাহাকার কাটছে না। টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানি কয়েকটি জেলায় কমলেও নতুন নতুন এলাকা এখনো প্লাবিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় ত্রাণসামগ্রী ও বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে হাহাকার চলছে। পানি কমে আসা এলাকাগুলোতে স্রোত বেশি থাকায় ভয়াবহভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ঢলের পানিতে খরস্রোতা হওয়ায় তিস্তার ব্যাপক ভাঙনে লালমনিরহাটের ৩০টি পরিবার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ১০০ পরিবার। পানি কমে আসা এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণকার্যক্রম প্রচুর হলেও কোনো কোনো এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। রোববার পর্যন্ত বানের পানিতে ২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো দু’জন।

শুধু মিরসরাই, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরেই এখনো ১৭ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। রোববার পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ভয়াবহ এই বন্যায় ৫২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকায় স্থাপিত হয়নি মোবাইল নেটওয়ার্ক। তৃণমূল জনপদের মানুষ বেশি দুর্ভোগে। দেশ রূপান্তরের পেছনের পাতার খবর-সাশ্রয়ী আমন আবাদে বড় ধাক্কা। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বন্যায় অন্তত ১১ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে রোপা আমনের ক্ষেতগুলো।

কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত বীজ নেই। বীজতলা তৈরীর উপযোগী ভূমিও নেই। বীজ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পানি নেমে যাওয়ার পর বীজতলা তৈরি করতে করতে শেষ হয়ে যাবে আমনের মৌসুম। ১৫সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমনের চারা রোপণ করতে না পারলে ধানের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মৌসুম বলে বিবেচিত আমন চাষ থেকে বঞ্চিত থাকবে বিশাল একটি এলাকা। সাম্প্রতিক বন্যায় এখনও পানির নিচে রয়েছে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমি।

এসব এলাকায় অনেক জায়গায় আমন চারা রোপন করা গিয়েছিল কোথাও কোথাও আমলের বীজতলা ছিল আবার কোন কোন এলাকায় আমন রোপনের অপেক্ষায় ছিল।
কোথাও কোথাও আউশ ধান মাঠে ছিল। কাটার উপযোগী হয়নি। সাম্প্রতিক আচমকা বন্যায় সবই পানির নিচে চলে গিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মধ্যে, আমন ধানের ক্ষেত্রে সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সি চারা রোপণ করতে হয়।

এই চারা ১৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে রোপন করতে হবে অন্যদিকে বন্যার পানি নামতে আরো চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। এই মুহূর্তে বন্যা কবলিত এলাকায় বীজতলা তৈরি করে আমলের চারা সরবরাহ করা কষ্টসাধ্য হবে। এক্ষেত্রে বন্যা দুর্গত এলাকার বাইরে থেকে চারা এনে দূর্গত এলাকায় সরবরাহ করা যেতে পারে। ব্রি আর ২২ ও ২৩ জাতের ধান সবচেয়ে ভালো হতে পারে। কেননা এগুলো একটু দেরিতে রোপন করলেও ফলন ভালো হয়।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর-50 injured as Ansars clash with students. অর্থাৎ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসারদের সংঘর্ষে ৫০ জন আহত।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও রোববার সচিবালয়ের গেট অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত করে আনসার সদস্যরা। পরে ছাত্র-জনতা সচিবালয়ে এলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ছাত্রজনতা তাড়ানোর চেষ্টা করলে রাত ৯টা ২০ এর দিকে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের সময় দুই গ্রুপ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ধাওয়া দিতে থাকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রাত ১১টা পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনসার সদস্যদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হলেও তারা সচিবালয় অবরোধ করে। এই আনসার সদস্যদের ‘স্বৈরাচারের দালাল’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল করতে থাকে। হাজারো শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হয়। অনেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে।

এক পর্যায়ে সচিবালয়ের পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে। আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আনসার সদস্যরা পিছু হটেন। মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর- পাকিস্তানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর পুরো বাংলাদেশ দল ভাসছে উচ্ছ্বাসে। ২০০১ থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাঠে কখনোই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে নতুন ইতিহাস স্থাপন হল। পাকিস্তানে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো যেমন জয়ের দেখা পেয়েছে তেমনি বাংলাদেশ টেস্টে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের দেখাও পেয়েছে তারা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনে সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিং তোপে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

মিরাজ ২১ রানে চারটি এবং ৪৪ রানে সাকিব নেন তিন উইকেট। মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। সাদমান নয় রানে ও জাকির ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর। মুশফিকুর রহীমের ১৯১ রানের উপর ভর করে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ। 

আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর- আ.লীগ আমলের সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে ইস্যু করা সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার।

এসব আগ্নেয়াস্ত্র আগামী ৩রা সেপ্টেম্বরের মধ্যে গুলিসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা সাধারণ ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। এ জন্য যেমন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনি ব্যবহার করা হয়েছে বৈধ অস্ত্র।  বৈধ অস্ত্রগুলো জমা পড়ার পর তা পরীক্ষা করলে সহজেই বোঝা যাবে—এগুলো ব্যবহার হয়েছে কি না। রবিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ই অগাস্ট পর্যন্ত যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে দেওয়া হয়েছে, তা স্থগিত করা হলো।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন নীতিমালা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস