ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

দেশে দীর্ঘমেয়াদি বন্যার শঙ্কা 

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৮:১৬ রাত  

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগামী দুইদিন অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে হচ্ছে ভারী বৃষ্টি। এর সঙ্গে ভারতের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়ায় ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী জেলা।

ভারতের ত্রিপুরায় উৎপত্তি হওয়া গোমতী নদী প্রায় ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কুমিল্লার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফলে ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় হু হু করে পানি ঢুকছে কুমিল্লা অঞ্চলে। একই সঙ্গে ত্রিপুরার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হাওড়া নদী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, ধলাই নদী মৌলভীবাজারে, মুহুরি নদী ফেনী জেলায় এবং খোয়াই নদী সিলেটে প্রবেশ করায় এসব প্রবেশপথেও পানি ঢুকছে বাংলাদেশে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিরাজমান নিম্নচাপের কারণে ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আগরতলায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বিলোনিয়ায় ১৪২ মিলিমিটার ও মনুঘাটে ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. রবিউল আউয়াল বলেন, ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাব আমাদের ওপর পড়েছে। হঠাৎ করে বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায় আমাদের এখানে ফ্ল্যাশ ফ্লাড হচ্ছে। বৃষ্টি যদি আরও অব্যাহত থাকে তাহলে সেই পানি বাঁধ দিয়ে অনবরত নামবে। ফলে কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চলে এর প্রভাব পড়বে।

তিনি আরো বলেন, ভারতে এখন মনসুন পিরিয়ড। ভারতে রয়েছে লা নিনার প্রভাব। এল নিনোর উল্টো দিকে লা নিনার প্রভাবে সাধারণত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে-কমে। ফলে ত্রিপুরার বৃষ্টির প্রভাব আমাদের এখানে পড়ছে। আর আগে সতর্ক করা ছাড়া বাঁধ খুলে দেওয়ায় আমাদের ভাটির দেশ বন্যার কবলে পড়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আমাদের দেশে গত কয়েক বছর এমন বৃষ্টি হয়ে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। একই সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বৃষ্টির পানি আসার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরা বা উজানের বৃষ্টি কমলে আমাদের এদিকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

দৈনিক সরোবর/এএস