ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

‘তিস্তা চুক্তির বিষয়ে যতটুকু করতে হয় ততটুকুই করবো’

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল  

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে যতটুকু করতে হয় অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকুই করবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ভারতের সাথে কুশিয়ারা, ফেনী নিয়ে চুক্তি আছে। গঙ্গাচুক্তি রিনিউ করার বিষয় আছে। ৫৪ অভিন্ন নদী ছাড়া আরো কিছু অভিন্ন নদী আছে। অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আমরা কথা বলবো।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বিশ্বব্যাংকের প্রিতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিস্তা চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কতটুকু করতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকু করতে হয় ততটুকুই করবো। বাংলাদেশ তিস্তা নদীর ওপরে যে অধিকার সেই অধিকারের কথা বলতে লিখিত দিতে একদম পিছপা হবো না। তিস্তা পাড়ের মানুষের সঙ্গে এবার কথা বলা হবে। জয়েন্ট রিভার কমিশন নেগোসিয়েশন করে কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষ কি চায় সেটা আমরা তুলে আনবো। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা মানুষকে বঞ্চিত করে পানি দেবো না। সুতরাং আমার মানুষ কি চায় সেটাও টেবিলে যাতে আসে সেই ব্যবস্থাটা করবো। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক যে আইন আছে ১৯৯৭ সালের সেটায় ৩৬টা অনুস্বাক্ষর লাগতো। ১৭ বছর লেগেছে সেটি করতে। এটি বৈশ্বিক বাস্তবতা।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নদীর জীবন যাতে ঠিক থাকে, নদীনির্ভর মানুষ যেন তাদের ন্যায্য অধিকারটুকুর দাবি উপস্থাপন করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবো। আন্তর্জাতিক যে আইনগুলো আছে সেগুলো আমরা তুলে ধরবো। বাংলাদেশের মানুষকে আশা হারালে চলবে না। দেওয়া না দেওয়া আমরা ক্ষমতার মধ্যে নেই। কিন্তু আমাকে তো সবসময় আমার কথা বলতে হবে। সে কথাটা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভারতের সঙ্গে তো আলোচনায় যেতেই হবে। তাদের সাথে কুশিয়ারা, ফেনী নিয়ে চুক্তি আছে। গঙ্গাচুক্তি রিনিউ করার বিষয় আছে। ৫৪ অভিন্ন নদী ছাড়া আরো কিছু অভিন্ন নদী আছে। অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আমরা কথা বলবো। তারা সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের বড় ভূমিকা আছে। ভারতের সঙ্গে আমরা অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবো। আমাদের যে দাবি-দাওয়া সেগুলো আমরা জোরালোভাবে পেশ করবো। আমরা হয় আন্তর্জাতিক মণ্ডলেও কথা বলবো যে এটি ন্যায্য দাবি।

দৈনিক সরোবর/এএস