কোটা আন্দোলন বিশ্ব গণমাধ্যমে 

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। এরপর থেকেই বিষয়টি উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

এএফপি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একটি ছবির ক্যাপশনে লেখে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সমর্থনকারী ছাত্রদের সংঘর্ষের পর আহত এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাচ্ছেন বাকিরা। সোমবার উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০০ জন আহত হয়।

আজ মঙ্গলবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু। তারা বলে, গতকাল সোমবার বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জড়ো হলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সংঘর্ষে আহত ২৫০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির জরুরি ইউনিটের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পর কোটা সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পরপরই ‘সরকারি চাকরিতে কোটার প্রতিবাদে অন্তত ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আহত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগপন্থি ছাত্রসংগঠন ও সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ও ক্ষমতাসীন দলের অনুগতদের মধ্যে সংঘর্ষে সোমবার সারা বাংলাদেশে ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

দৈনিক সরোবর/কেএমএএ