তেল দিয়ে সমাধান করুন শরীরে ব্যথা-মানসিক ক্লান্তি

কাজের চাপ, ঘুমের অভাব, ক্লান্তি, উদ্বেগ, গায়ে ব্যথা ইত্যাদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ প্রভাব ফেলছে মন ও শরীরে। এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে কাজে লাগাতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল। মূলত গাছগাছালির পাতা, শেকড়ের নির্যাস, ফুল থেকে যেসব তেল তৈরি হয় সেগুলোকেই এসেনশিয়াল অয়েল বলে। 

মন ভালো করা থেকে শুরু করে ব্যথা কমানো কিংবা ক্লান্তি-অবসাদ দূর করা সবই করতে পারে এই তেল। কোন সমস্যায় কী তেল ব্যবহার করবেন আর কীভাবে ব্যবহার করবেন চলুন জেনে নিই- 

ল্যাভেন্ডার অয়েল

এই তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি বায়োটিক, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি সেপটিক জাতীয় উপাদান। ল্যাভেন্ডার অয়েল হাড়ে ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা, মাথাব্যথায় জাদুর মতো কাজ করে। এই তেল ঘুমের সমস্যা ও উদ্বেগ কমাতেও যথেষ্ট কাজ করে। 

অয়েল ডিফিউজারে কয়েক ফোঁটা তেল দিলেই তা বাষ্পীভূত হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। তেলের ঘ্রাণ নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছলেই কাজ হবে। ব্যথার জায়গাতে সামান্য একটু তেল লাগিয়ে নিতে পারেন। রুমালে দু এক ফোঁটা তেল নিয়েও ঘ্রাণ নিতে পারেন।

পেপারমিন্ট অয়েল

পেশির চোট বা ব্যথা কমাতে কাজ করে পেপারমিন্ট অয়েল। এটি কর্মক্ষমতাও বাড়াতে সহায়তা করে। উল্টোপাল্টা খাবার কথা মাথায় এলেই যদি একটু পেপারমিন্ট অয়েল শুঁকে নেন, তাহলে সেই খিদের ইচ্ছেটাই চলে যাবে। 

ব্যথা কমাতে ১ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েলের সঙ্গে ৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল, ১ ফোঁটা জিঞ্জার অয়েল আর ১০ ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে তেল তৈরি করে নিতে পারেন। ব্যথার জায়গায় এই তেলটি লাগালে উপকার মিলবে। পাশাপাশি ক্লান্তিও দূর করবে পেপারমিন্ট অয়েলের গন্ধ।

ক্যামোমাইল অয়েল

ক্যামোমাইল গাছের নির্যাস থেকে তৈরি হয় তেলটি। আর্থ্রাইটিস, পেশির ব্যথা, ঋতুস্রাবের সময় পেশিতে টান ধরা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে এই তেলেই। ৩ ফোঁটা ক্যামোমাইল অয়েল, ১ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল, ৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল, ১০ ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে এই তেল তৈরি করতে পারেন। এই তেলের ঘ্রাণ নিলে উদ্বেগ কমবে। অন্যদিকে গাঁটের ব্যথা, পেশি টেনে ধরার সমস্যা সমাধানেও এই তেল কাজ করবে। অনিদ্রা সমস্যা দূর করবে এই তেল। 

দৈনিক সরোবর/এমই