ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

ইসরায়েলি জিম্মিদের ভাগ্য অনিশ্চিত

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০৭:৫৮ বিকাল  

হামাসের বন্দুকধারীরা কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল থেকে অন্তত ১৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের গাজার বিভিন্ন গোপন জায়গায় রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্করাও রয়েছেন।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতালে হামলা করেছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৫০০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এমন অবস্থায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ফিলিস্তিনি এ সংগঠনটির হাতে বন্দিদের কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইসরায়েল যদি এখন গাজায় পূর্ণ মাত্রার অভিযান চালায়, তাহলে এসব জিম্মি বেঁচে থাকার সুযোগ পাবে? ইসরায়েল একটি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে গাজা সীমান্তে সেনা মোতায়েন, ভারী আর্টিলারি এবং ট্যাংক জড়ো করেছে তারা।ইসরায়েলে হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।

সমঝোতার আভাস নেই: পেছন থেকে কাতার, মিসর ও সম্ভবত আরও কয়েকটি দেশ জিম্মিদের একাংশের মুক্তির জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

একটি আইডিয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে যে হামাস নারী ও শিশু বন্দীদের মুক্তি দেবে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল ৩৬ নারী ও কিশোর বন্দীকে ছেড়ে দেবে। ইসরায়েলের রেইচম্যান ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট ফর পলিসি অ্যান্ড স্ট্রাটেজির সিনিয়র বিশ্লেষক মাইকেল মিলস্টাইন বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে কোনো মূল্যে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাওয়াই হতো ইসরায়েলের বড় অগ্রাধিকার। কিন্তু এখন তাদের অগ্রাধিকার হলো সামরিক হুমকি হিসেবে হামাসকে নির্মূল করা। উভয় পক্ষেই উত্তেজনা ও ক্রোধ বাড়ছে। ইসরায়েল ও হামাস-কারও মধ্যেই সমঝোতার মেজাজটাই নেই। ইসরায়েলিরা হতভম্ব ও ক্ষুব্ধ যে বন্দুকধারীরা কীভাবে সহজেই দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় তাদের সেনা ও নাগরিতদের হত্যা করতে পারলো।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা, শুধু হামাস নয়, শনিবারের পর থেকে গাজায় দুই হাজারের মতো বিমান হামলার আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুতে ক্রোধে ফুঁসছে। গাজায় তেল, বিদ্যুৎ, পানি ও ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো সতর্কতা ছাড়া বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল কোনো বেসামরিক নাগরিক হত্যা করলে জবাবে এর প্রতিটির জন্য একজন করে জিম্মিকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। তবে এমন কিছু তারা করেছেন তেমন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। একইসাথে ইসরায়েলের দিক থেকেও সংযমের কোনো আভাস নেই। গাজার বড় অংশকেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। তবে মাইলস্টেইন বিশ্বাস করেন যে হামাস হয়তো নারী, শিশু ও বয়স্কদের আটকে রাখতে আগ্রহী নাও হতে পারে। কারণ ব্যাপক বিমান হামলার মধ্যে তাদের উচ্চ মাত্রার যত্ন নেওয়া সহজ নাও হতে পারে। হামাস তাদের অবস্থানও গোপন রাখার চেষ্টা করছে যাতে করে সেখানে ইসরায়েল কোনো তথ্য না পেতে পারে।

এর পরিবর্তে হামাস চাইবে তাদের হাতে জিম্মি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পূর্ণ সুবিধা আদায় করতে। আলোচনা হলেও যাতে এদের মুক্তির বিনিময়ে বড় কিছু আদায় করা যায়। তথ্য সূত্র: বিবিসি

দৈনিক সরোবর/এএস