যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ করতে ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন নেতানিয়াহু: হামাস
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৪:২১ দুপুর

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন-হামাস ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। শনিবার আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক শাখার জ্যেষ্ঠ সদস্য বাসেম নাঈম এ অভিযোগ করেন। তার দাবি, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি নস্যাৎ করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলি সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয়। আগামী ১ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পর্যায় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা হামাস ও ইসরায়েলের।
চুক্তির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের বিস্তারিত, যা মূলত ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে বলে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে আলোচনা করার কথা ছিল, যা ছয় সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ১৫ মাসের নিরন্তর ইসরায়েলি হামলার পর মানবিক সহায়তা পৌঁছানো, ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যদি দ্বিতীয় পর্যায় চূড়ান্ত হয়, তাহলে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাসেম নাঈম আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আবারও এই চুক্তিকে ভন্ডুল ও গুরুত্বহীন করার নোংরা খেলা চলছে। আর এই খেলার মাধ্যমে আবার নতুন করে যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হামাস এবং চুক্তির অধীনে তাদের দায়িত্ব তারা পালন করেছে।
তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী মানবিক সহায়তা গাজায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং নেতজারিম করিডর (গাজাকে উত্তর ও দক্ষিণে সংযোগকারী সরু পথ) থেকে সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত মাসের শুরুর দিকে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন যে, হামাসের অভিযোগগুলো সঠিক। তবে ইসরায়েলি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এরপর গতকাল হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে গাজায় পাঠায়নি। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা
দৈনিক সরোবর/ইএইচপি