ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

বৈরুতে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলা

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০৬, ২০২৪, ০৩:৪০ দুপুর  

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাংশের শহরতলিতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কোথাও কোথাও হামলা ‘খুবই প্রবল’ ছিল বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। দু ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ যাবৎকালের তীব্রতম একটি হামলা এটি।

লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চারবার ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। চুয়েফাত এলাকায় একটি হামলার পর কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখা যায়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে এএফপির ভিডিও ফুটেজে।

বৈরুতের দক্ষিণ থেকে আগুনের বিশাল গোলা আকাশের দিকে উঠে যেতে দেখা যায়। প্রায় একঘণ্টা ধরে ঘন ধোঁয়ার মধ্যে গোলার ফুলকি দেখা গেছে।

বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলির সাবরাতের সড়কে বহু মানুষকে দেখেছেন এএফপির প্রতিবেদক। তাঁদের কারও হাতে ব্যাগ, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউবা পায়ে হেঁটেই চলছেন। বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পেছনে ফেলে প্রাণভয়ে পালাচ্ছিলেন তাঁরা।

বৈরুতে লেবাননের একমাত্র বিমানবন্দরের কাছেই বোমা পড়েছে। তবে বিমানবন্দরটি সচল আছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি বিমান সেখানে নেমেছে।

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বৈরুতের (দক্ষিণাঞ্চলে) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে এখন বিমান হামলা চালাচ্ছে’।

শনিবার রাতে হামলা শুরুর আগে ইসরায়েলি বাহিনী বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলে। স্যাটেলাইটের ছবিতে বার্জ আল-বারাজনেহ, হারেত হারিক ও চুয়েফাত আল-আমরুসিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হওয়ার ছবি ফুটে উঠেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থলাভিযানে তারা ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই হাজার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থল।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল এবং লেবাননের ইরানসমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্তের এপার-ওপার করা গোলাগুলি চলছে।

কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে তীব্র বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় লেবাননে ১ হাজার ১১০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

দৈনিক সরোবর/এমই