মোসাদের যত সফল ও ব্যর্থ অভিযান
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৮:২৮ রাত

হেজবুল্লাহ সদস্যরা পেজার-সহ (যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র ) যে অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ‘তাৎপর্যপূর্ণভাবে’ সেগুলোকেই পরিণত করা হয়েছে বিস্ফোরক ডিভাইসে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক নজরদারি এড়িয়ে যোগাযোগের জন্য এই যন্ত্রই ব্যবহার করেন হেজবুল্লাহর সদস্যরা।
সেই যন্ত্রই ব্যবহারকারীদের হাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননে হত্যা করা হয়েছে বহু মানুষকে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। লেবাননের সরকার ইসরায়েলকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করেছে। লেবানন এই ঘটনাকে ‘ইসরায়েলের অপরাধমূলক আগ্রাসনের’ আখ্যা দিলেও হেজবুল্লাহর পাল্টা দাবি এই হামলা ‘ন্যায্য প্রতিশোধ’। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে লেবাননের ঘটনা সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি। কিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যমে অবশ্য বলা হয়েছে মন্ত্রিসভার তরফে সে দেশের মন্ত্রীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে তারা যাতে ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করেন।
ইসরায়েল কিন্তু হেজবুল্লাহের সমস্ত গতিবিধির উপর নজর রাখে। যা ইঙ্গিত দেয় যে এই অভিযান দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের অংশ হতে পারে।
এখন যদি এই ঘটনায় যদি ইসরায়েল সত্যিই দায়ী হয়, তবে এটা তাদের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক এবং প্রভাবশালী অভিযানের মধ্যে একটা। একই সঙ্গে এই অভিযান কিন্তু ইসরায়েল এবং সে দেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অতীতের অভিযানের স্মৃতিকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।
যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র বিস্ফোরণে মৃত হেজবুল্লাহ যোদ্ধা হুসেইন আমহাজের কফিন বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন হেজবুল্লাহর অন্যান্য যোদ্ধারা।
মোসাদের সফলতা: মোসাদ একাধিক সফল অভিযান করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা অভিযান দেখে নেওয়া যাক-
নাৎসি অফিসার অ্যাডলফ আইকম্যানের অপহরণ: ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনা থেকে নাৎসি অফিসার অ্যাডলফ আইকম্যানের অপহরণ মোসাদের বড় সাফল্যের মধ্যে একটা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির দ্বারা প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করা হয়েছিল। অ্যাডলফ আইকম্যান ‘হলোকাস্ট’-এর মূল স্থপতিদের একজন ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ইহুদিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। ধরা পড়ার সম্ভাবনা এড়াতে বেশ কয়েকটা দেশে থাকার পর শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনায় বসতি স্থাপন করেন আইকম্যান। কিন্তু ১৪ জন মোসাদ এজেন্টের একটা দল তাকে খুঁজে বের করে অপহরণ করে। তারপর তাকে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয় যেখানে তার বিচার হয় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।
এন্টাবি অভিযান: উগান্ডায় এন্টাবি অভিযানকে ইসরায়েলের সবচেয়ে সফল সামরিক অভিযান হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অভিযানে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ আর অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তেল আবিব থেকে এথেন্স হয়ে প্যারিসগামী এক বিমান থেকে ইসরায়েলি কমান্ডো বাহিনী সফলভাবে ১০০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেছিল। ওই বিমানে বিমানটিতে ১০৩জন ইসরায়েলিসহ প্রায় ২৫০জন যাত্রী ছিল। যারা বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন তাদের মধ্যে ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইনের’ দুই সদস্য এবং তাদের দুই জার্মান সহযোগী ছিলেন। তারা ওই বিমান উগান্ডায় নিয়ে গিয়েছিলেন। জিম্মিদের উদ্ধার করতে ইসরায়েল অভিযান চালায়। এই ঘটনায় তিনজন জিম্মি, বিমানের হাইজ্যাকাররা, বেশ কয়েকজন উগান্ডার সৈন্য এবং ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভাই ইয়োনাতান নেতানিয়াহুর মৃত্যু হয়েছিল।
‘অপারেশন ব্রাদার্স’: ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিনের নির্দেশে মোসাদ এক অভিনব পন্থায় নকল ডাইভিং রিসোর্টের আড়ালে সুদান হয়ে ৭০০০ এরও বেশি ইথিওপিয়ান ইহুদিকে ইসরায়েলে পাচার করেছিল। শত্রু ‘আরব লিগের’ অন্তর্গত দেশ সুদান। তাই সেখানে গোপনে কাজ করে মোসাদের এজেন্টদের একটা দল সুদানের লোহিত সাগর উপকূলে একটি রিসর্ট স্থাপন করেছিল। এই রিসর্টকে তারা গোপন ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করত।
দিনের বেলায়, ওই এজেন্টরা হোটেলের কর্মীর ছদ্মবেশ ধারণ করে কাজ করতেন। রাতে প্রতিবেশী ইথিওপিয়া থেকে গোপনে পায়ে হেঁটে আসা ইহুদিদের পাচার করতেন মসাদ এজেন্টরা। তাদের আকাশ বা সমুদ্রপথে দেশের বাইরে পাঠানো হতো ইথিওপিয়ান ইহুদিদের। এই অভিযান কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে চলেছিল। পরে যখন এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে তখন সুদান ছেড়ে পালিয়ে যান মোসাদ এজেন্টরা।
মিউনিখ অলিম্পিকস অপহরণ: ১৯৭২ সালে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ মিউনিখ অলিম্পক্সে অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি দলের দুই সদস্যকে হত্যা করে এবং অন্য নয়জনকে বন্দী করে। পশ্চিম জার্মান পুলিশের তরফে ওই জিম্মিদের ব্যর্থ উদ্ধারের চেষ্টার পর তাদের (জিম্মিদের) হত্যা করা হয়। এরপর, মোসাদ ‘প্যালেস্তিনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের’ একাধিক সদস্যকে নিশানা করে। এই তালিকায় মাহমুদ হামশারিও ছিলেন।
মাহমুদ হামশারির প্যারিসস্থিত অ্যাপার্টমেন্টের ফোনে বিস্ফোরক লাগানো হয়েছিল। যার ফলে গুরুতর আহত হন তিনি। বিস্ফোরণে একটা পা হারিয়েছিলেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুও হয়।
ইয়াহিয়া আয়াশ: ১৯৯৬ সালে এইরকমই এক অভিযান চালানো হয়েছিল হামাসের বোমা প্রস্তুতকারককে হত্যা করতে। ইয়াহিয়া আয়াশ নামে ওই বোমা প্রস্তুতকারককে হত্যা করা হয়েছিল একটা মটোরোলা আলফা মোবাইল ফোনে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে। ৫০ গ্রাম বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল ওই মোবাইল ফোনে।
হামাসের সামরিক শাখার একজন অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন ইয়াহিয়া আয়াশ। বোমা তৈরিতে এবং ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে জটিল আক্রমণ পরিচালনায় দক্ষতার জন্য পরিচিতি ছিল তার।
এই দক্ষতার কারণে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থার জন্য সে দেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ -এর তালিকায় নামও ছিল। ক্রমে ইসরায়েলের প্রধান নিশানা হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষের দিকে, ইসরায়েল হত্যার কিছু বিবরণের উপর থেকে সেন্সরশিপ তুলে নেয় এবং ‘চ্যানেল ১৩ টিভি’ ইয়াহিয়া আয়াশের সঙ্গে ফোনে তার বাবার শেষ কথোপকথনের একটা রেকর্ডিং সম্প্রচার করে। মাহমুদ হামশারি এবং ইয়াহিয়া আয়াশ, দু’জনের দুইজনকে হত্যাকাণ্ডই ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে মারার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের এক দীর্ঘ এবং জটিল ইতিহাসকে তুলে ধরে। মাহমুদ আল-মাভুহ: শ্বাসরোধ করে হত্যা: ২০১০ সালে হামাসের একজন সিনিয়র সামরিক নেতা মাহমুদ আল-মাভুহকে দুবাইয়ের একটা হোটেলে হত্যা করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হয়েছিল কিন্তু দুবাই পুলিশ শেষপর্যন্ত ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা নজরদারি ফুটেজ পরীক্ষা করে হত্যাকারী দলকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয় যে আল-মাভুহকে প্রথমে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে এবং তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। এই অভিযানের পিছনে মোসাদ ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তরফে কূটনৈতিক স্তরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল।
ইসরায়েলি কূটনীতিকরা অবশ্য দাবি করেন এমন কোনও তথ্য প্রমাণ নেই যা ঘটনাটার সঙ্গে মোসদকে জুড়তে পারে।
যদিও ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িয়ে থাকার’ বিষয়টা কিন্তু অস্বীকারও করেনি তারা। ইসরায়েলের অবস্থান এ জাতীয় ঘটনায় তাদের ‘অস্পষ্টতা’ বজায় রাখার যে নীতি রয়েছে তার সঙ্গে একেবারে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ব্যর্থতা: মোসাদের ঝুলিতে অসংখ্য সফল অভিযান যেমন আছে, তেমনই রয়েছে একাধিক ব্যর্থতাও। তারই কয়েকটা উল্লেখ করা হলো-
খালেদ মেশাল: ইসরায়েলের এই ব্যর্থ অভিযানগুলোর তালিকায় রয়েছে হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালেদ মেশালকে হত্যার চেষ্টা যা একটা বড় কূটনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি করেছিল। ১৯৯৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান খালেদ মেশালকে জর্ডানে বিষ ব্যবহার করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইসরায়েলি এজেন্টরা ধরা পড়ে যাওয়ায় এই অভিযান ব্যর্থ হয়। এরপর খালেদ মেশালের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিষেধক সরবরাহ করতে বাধ্য করা হয় ইসরায়েলকে। মোসাদের তৎকালীন প্রধান ড্যানি ইয়াটম তার (খালেদ মেশালের) চিকিৎসার জন্য জর্ডানে যান।
এই হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গিয়েছিল জর্ডন ও ইসরায়েলের সম্পর্কে। হামাস নেতা মাহমুদ আল-জাহার: ২০০৩ সালে ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছিল হামাস নেতা মাহমুদ আল-জাহারের বাড়ি লক্ষ্য করে। এই হামলা থেকে যদিও আল-জাহার রক্ষা পেলেও তার স্ত্রী ও ছেলে খালেদসহ আরও কয়েকজন নিহত হন। তার বাসভবনকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিল ওই বিমান হামলা।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সামরিক অভিযানের গুরুতর প্রভাবকে তুলে ধরেছিল এই আক্রমণ। ‘লাভন অ্যাফেয়ার’: ১৯৫৪ সালে, মিশরীয় কর্তৃপক্ষ ‘অপারেশন সুসানাহ’ নামে এক ইসরায়েলি গুপ্ত অভিযানকে বানচাল করে দেয়। যে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায় তা ছিল মিশরে মার্কিন ও ব্রিটিশ স্থাপনায় বোমা ফেলার। এই অভিযানের পিছনে ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাজ্যকে চাপ দেওয়া যাতে তারা সুয়েজ খালে অবস্থানরত বাহিনী বজায় রাখে। এই ঘটনা ‘লাভন অ্যাফেয়ার’ নামে পরিচিতি পায়। ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিনহাস লাভনের নামের অনুকরণে নামকরণ করা হয়েছিল। অভিযানের পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে মনে করা হয়। মোসাদকেও বিপর্যয়মূলক গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়।
ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ: ১৯৭৩ সালের ছয়ই অক্টোবর, মিশর এবং সিরিয়া সিনাই উপদ্বীপ এবং গোলান মালভূমি পুনরুদ্ধার করতে ইসরায়েলের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। আক্রমণের সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ইহুদিদের প্রায়শ্চিত্তের দিন ইয়োম কিপ্পুরেকে। যে কারণে যুদ্ধের প্রাথমিক দিনগুলোতে ইসরায়েল প্রস্তুত ছিল না। মিশর ও সিরিয়া দুই ফ্রন্টে ইসরাইলকে আক্রমণ করে।
মিশরীয় বাহিনী সুয়েজ খাল অতিক্রম করে। প্রত্যাশিত হতাহতের মাত্র একটা অংশই তাদের আক্রমণের দ্বারা প্রভাবিত হয়। অন্যদিকে সিরিয়ার বাহিনী ইসরায়েলি অবস্থানে আক্রমণ করে এবং গোলান মালভূমিতে প্রবেশ করে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন সিরিয়া এবং মিশরকে এই আক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার জোগান দিয়েছিল।
ইসরায়েল ওই বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে সক্ষম হয়েছিল। যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের তরফে প্রস্তাব দেওয়ার চারদিন পর ২৫ অক্টোবর যুদ্ধ শেষ হয়েছিল।
গতবছর হামাসের আক্রমণ সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক না করা মোসাদের ব্যর্থতা বলে বিবেচনা করা হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সাতই অক্টোবরের হামলার ফলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়াও আরও ২৫১জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হামাসের আক্রমণের জবাবে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধ শুরু করে, যার ফলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে।
এখন পর্যন্ত ৪০,০০০জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।
৭ অক্টোবর ২০২৩-এর হামলা: ইয়োম কিপ্পুর হামলার প্রায় ৫০ বছর পর গতবছর, আকস্মিক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল ইসরায়েলকে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এই আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক না করতে পারার বিষয়কে মোসাদের একটা বড় ব্যর্থতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরোধ নীতির দুর্বলতাকে প্রতিফলিত করে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এএস