ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

মজুদদারদের বিরুদ্ধে তৎপর হবেন ডিসিরা 

পণ্যের দাম যেন আর না বাড়াতে পারে

সম্পাদকের কলম

 প্রকাশিত: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত  

নিত্যপণ্য মজুদের বিরুদ্ধে বারবার হুশিয়ার উচ্চারণ করছেন খাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মজুদ করে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়। উদ্দেশ্য থাকে চড়া দামে বিক্রি করা। বিশেষ করে রোজা সামনে রেখে মজুদদাররা নানা কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়াতে পারে, এ আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সরকারের তৎপরতায় এ কারসাজি বন্ধ হতে পারে। সরকারের শক্ত অবস্থানই পারে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে। এতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারনে, জেলা প্রশাসকরা। প্রধানমন্ত্রী মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের আহ্বান করেছেন। সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সরকার যে বেশ সক্রিয় ও তৎপর তা বুঝতে পারা যাচ্ছে। পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি বেশ কিছুকাল ধরেই আমরা দেখে আসছি। তবে এর আগে এবারের মতো সরকার এত কঠোর অবস্থানে যায়নি। ফলে আশা করা যায়-রোজার মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাবে না। 

দেশের সব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে জড়িত তা নয়, কিছু ব্যবসায়ী এতে জড়িত। এ কারণে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের দায়িত্ব হলো অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। কারসাজির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের কতটা নাভিশ্বাস বেড়েছে তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। তাই আমরা মনে করি, জেলা প্রশাসকরা মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। রবিবার (৩ মার্চ) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চার দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভেজাল খাদ্যের যে ভয়াবহ অবস্থা, তা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। মানুষের রোগ-ব্যাধি বাড়ার পেছনে ভেজাল খাদ্যগ্রহণ বিশেষভাবে দায়ি। ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

দৈনিক সরোবর/এএস