টুঙ্গিপাড়ায় ভিন্নমাত্রায় পালিত হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠান
প্রকাশিত: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০৫:২৮ বিকাল

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ভিন্নমাত্রায় পালিত হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠান। উপজেলা পরিষদের সামনে হেলিপ্যাড চত্তরে ৭শ” শিশু শির্ক্ষার্থীদের দ্বারা বানানো হয়েছিল ৭ মার্চ ছায়া লেখা। আর এই শিক্ষার্থীদের একসাথে উচ্চারনে ধ্বনিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেসকোর্স ময়দানে দেয়া ঐতিহাসিক সেই ৭ মার্চের ভাষন। পরে সেখানে ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের ১ হাজার ১০৮টি শব্দের ভাষন ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরন করে ১ হাজার ১০৮ জন শিক্ষার্থী একসাথে জাতীয় পতাকা হাতে নাড়িয়ে এক অনন্য দৃশ্যের অবতারনা করে। এর পরপরই এইসব শিক্ষার্থীরাই প্রত্যেকে নানা রঙ্গের বেলুন আকাশে উড়িয়ে দিয়ে একটি রঙ্গিন আকাশ উপহার দেয় দর্শনার্থীদের।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনের উন্নয়ন প্রতিনিধি মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে এসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ভাষণ উপস্থাপন ও বেলুন উড্ডয়ন শেষে প্লাাকার্ড নিয়ে ৭ই মার্চের শব্দ শোভাযাত্রা নামে একটি মিছিল বের করে উপজেলা পরিষদ প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক বলেন, ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের ১১০৮টি শব্দের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙ্গালি জাতির অনন্ত প্রেরণার উৎস। পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালিদের সামনে কঠিন সংকটময় মুহুর্তে ভারসাম্যপূর্ণ অথচ আবেগময় কন্ঠে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে স্বাধীনতার আহবান জানান বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর হৃদয় উৎসারিত শব্দমালার সুনিপুন বুনন বাঙালি জাতিকে দিয়েছে আরাধ্য স্বাধীনতা, মাতৃভূমি, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ। তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে ৭ই মার্চের ভাষণ তাদেরকে আত্মস্থ করানো হয়। এটি ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে তাদের পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
দৈনিক সরোবর/এএস