ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

টেকনাফ সীমান্তজুড়ে গোলার শব্দ, শাহপরীর জেটি বন্ধ

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০১:৫৭ দুপুর  

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পাওয়া ভারী গোলার শব্দে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সীমান্তের মানুষ। সোমবার সকাল থেকেও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। 

কিন্তু গুলির শব্দ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। এদিকে নিরপাত্তার কারণে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের ভ্রমণে চলাচল বন্ধ রেখেছে বিজিবি। 

গত শনিবার বিকেলে মিয়ানমারে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ পাঁচজন রোহিঙ্গা একটি ডিঙি নৌকায় বাংলাদেশ জল সীমানায় ঢুকে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে ভিড়ে। পরে বিজিবি তাদের ফেরত পাঠায়।

সীমান্তে গোলাগুলিতে নিরাপত্তার কারণে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটি মিয়ানমারের অনেকে ভেতরে। তবে নতুন করে যাতে কেউ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি।’  

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা গতকাল রোববার পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১৬৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করা হয়েছে।’ 

স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। 

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধে রাখাইনের মংডু শহরের বাঘগোনা, হাদিবিল, নলবনিয়া নয়াপাড়া গ্রামে হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালায়। ফলে কয়েক দিন ধরে এসব এলাকার প্রায় চার হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তবর্তী সিকদারপাড়া ও মন্নিপাড়া গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে।