ঝিনাইদহে হত্যাকান্ডের জেরে তান্ডব, আতঙ্কে গ্রামবাসী
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৫, ০৯:০৫ রাত

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে হত্যাকান্ডের জেরে তান্ডব: বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটসহ গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে। এ যেন গাঁজার যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি এলাকা। কিন্তু না ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলাটির চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে। সম্প্রতি এই গ্রামে দুঃসাহসিক লুটপাট, ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীরা ধরন্ত কলাবাগান কেটে ফেলেছে, পুকুরের মাছ লুট করেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর ছড়িয়ে থাকা ইট, কাঠ, ও ভাঙা আসবাবপত্রের দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১১ ফেব্রয়ারি। গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোশারফ নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্তদের বাড়িঘরে এভাবেই ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এই ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ১১ ফেব্রয়ারি এক পক্ষের বিরুদ্ধে মোশাররফ হোসেন নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযুক্তদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এই হামলার ঘটনায় প্রায় ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কসিম মন্ডলের ছেলে যুব্বার মন্ডল, সাঈদ মন্ডল, সোবহানের ছেলে রমজান ও তার দুই ছেলের মোট ৪১টি গরু, ২টি দোকান, ১টি পুকুর, ৫ বিঘা কলার জমি ও ২ বিঘা ভুট্টার জমি লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়াও, সোবহানের দুই ছেলে ওমর আলী ও নাজমুল, ঠান্ডু, বকুল, আকুলের বাড়ি ও ফসলি জমি লুটপাটের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এক ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলেছে, গরু নিয়ে গেছে, দোকান লুট করেছে। এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক সরোবর/এএস