ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গৃহবধূ খুন, দেবর আটক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৫:১৯ বিকাল  

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে জেসমিন আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূ দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আগাতে মারাগেছেন।

আজ বুধবার ভোরে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউডগি এলাকায় নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁর দেবরকে আটক করেছে পুলিশ। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আজ বুধবার ভোরে দুর্বৃত্তরা উপজেলার ঝাউডগি এলাকার আনিছ মোল্লার ছেলে হারুনুর রশিদের ওপর হামলা করে। এ সময় তাঁকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার ঝাউডগি এলাকার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন হারুনুর রশিদ। ঘরের বাইরে তাঁর চার-পাঁচটি গরু রয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু অসুস্থ। ভোরে বাইরে শব্দ হচ্ছিল। হারুন গরুটি দেখতে ঘরের বাইরে বের হন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে হারুনের স্ত্রী জেসমিন এগিয়ে যান। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে হামলাকারীদের কাছে অনুনয়-বিনয় করেন। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চান। এর মধ্যে হারুন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় জেসমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

আহত হারুনুর রশিদের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই হিরনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা হিরনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। কারও ধারণা, হামলাকারী কাউকে চিনে ফেলায় জেসমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

হারুনের চাচাতো ভাই খুরশিদ আলম বলেন, সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে আমার চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ সময় আমার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে কোনো কিছু লুট হয়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত হারুনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। জেসমিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হারুনের ভাই হিরনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। হিরনের সঙ্গে হারুনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ কারণেও ঘটনাটি ঘটতে পারে।

দৈনিক সরোবর/এমই