নেই চেনার উপায়, ট্রেনে পোড়া চার মরদেহের হবে ডিএনএ পরীক্ষা
প্রকাশিত: জানুয়ারী ০৬, ২০২৪, ০৯:১৯ রাত

ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া চারজনকে আর চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশের এসআই সেতাফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মরদেহগুলো এতটাই পুড়েছে যে চোখে দেখে কেউ শনাক্ত করতে পারছেন না। এ অবস্থায় পরিচয় শনাক্ত করতে প্রত্যেকের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
ওই ট্রেনের নিখোঁজ চার যাত্রীর স্বজনরা শনিবার সকাল থেকে ভিড় করেন ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে। লাশ দেখার পর তারা কেউ মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
এসআই সেতাফুর বলেন, যারা স্বজনের দাবি নিয়ে আসছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং পরে মরদেহ থেকে নেওয়া ডিএনএ নমুনা এবং দাবিদারদের নমুনা মিলিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে বিএনপির ডাকা হরতালের আগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগ কাঁচাবাজারের কাছে বেনাপোল এক্সপ্রেসের একটি বগিতে আগুন দেওয়া হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আরো দুই বগিতে।
ওই ঘটনায় চারজনের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয় ট্রেন থেকে। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আটজনকে, তারাও শঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
যে চারজনের লাশের খোঁজে স্বজনরা এসেছেন, তাদের মধ্যে আবু তালহা সৈয়দপুরে আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। বাকিরা হলেন– নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫), এলিনা ইয়াসমিন এবং চন্দ্রিমা চৌধুরি সৌমি (২৮)।
দৈনিক সরোবর/এএস