ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

আন্দোলনে হামলায় জড়িত জাবির ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত ও ২৮৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাবি সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ১১:৪৪ দুপুর  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ঘণ্টার সিন্ডিকেট সভা শেষে রাত ৩টায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এই তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।

অধ্যাপক কামরুল বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত বর্তমানে ছাত্রত্ব আছে, এমন শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার; চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এমন শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত এবং ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে ‘স্ট্রাকচার্ড কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুধু স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ৯ জন শিক্ষক হলেন সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ রঙ্গন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, তৎকালীন প্রক্টর আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজউল হাসান ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হুসনিয়ারা। 

শুধু স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠিত হওয়া দশজন শিক্ষক হলেন পলাশ সাহা, শফি মোহাম্মদ তারেক, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন শিকদার, মহিবুর রউফ শৈবাল, আনোয়ার খসরু পারভেজ, সাইফুর রহমান এবং অধ্যাপক এ এ মামুন। এছাড়া দুজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছেন। বরখাস্ত দুই কর্মকর্তা হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজীব চক্রবর্তী (শিক্ষা শাখা) ও নাহিদুর রহমান খান। কর্মচারী হলেন ৬ নং ছাত্র হলের সিক বয় মহসিন। এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম ও রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন স্থগিত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই বাস ভবনের মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর তৎকালীন উপাচার্যের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ রয়েছে।

দৈনিক সরোবর/কেএমএএ