ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

বিরোধী দল দমনে ইন্টারনেট শাটডাউনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার: ফখরুল

সরোবর প্রতিবেদক 

 প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৪:৪৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মী নয়, মুক্তমনা মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিরোধী দল দমনে ডিজিটালাইজেশনসহ ইন্টারনেট শাটডাউনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।

ডিজিটাল শাটডাউন করে সরকার মানুষের অধিকার হরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, সরকার বিদেশ থেকে নজরদারি প্রযুক্তি কিনে জনগণের ওপর তা প্রয়োগ করছে। নাগরিকদের তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে।

রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ইন্টারনেট-শাটডাউনসহ সব ধরনের ডিজিটাল-নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল।

সরকার গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ব্যাঘাত ঘটাতে সমাবেশের দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখছে। বিটিআরসিকে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নের নতুন আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি সুস্পষ্টভাবে ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন।

ইন্টারনেট শাটডাউনের ঘটনা নাগরিক অধিকারের ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন বলে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের রাজনীতি সামনে রেখে মানুষের ডিজিটাল অধিকারকে আরও সংকুচিত করছে। শুধু ইন্টারনেট বন্ধ নয়, রাস্তায় মানুষকে আটকে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল তল্লাশির নামে গণ হয়রানি করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ-বিদেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তির সহযোগিতায় চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত ফয়সালার সময়ে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছে। সরকারের সব নির্যাতন ব্যর্থ করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে। এতদিন ধরে সরকারের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গুম-খুন, জেল-জুলুম, নির্যাতনসহ বিভিন্ন রকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এ আন্দোলন দমন করার অপচেষ্টা করেছে। তাদের সমস্ত অপচেষ্টাই প্রায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

আন্দোলন সংগ্রামের তথ্যের অবাধ প্রবাহকে ক্ষমতাসীন সরকার ভয় পায় বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সে কারণে অনির্বাচিত অবৈধ পার্লামেন্টে তারা তৈরি করেছে গণবিরোধী ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ)।

তিনি আরও বলেন, গত ১২ জুলাই এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে ওই এলাকার ইন্টারনেট সুবিধা বিঘ্নিত করা হয়েছিল। অথচ ওই দিন একই সময়ে বায়তুল মোকাররম সরকারি দলের সমাবেশ স্থলের ইন্টারনেট সংযোগ ছিল স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য শাম্মী আক্তার, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

দৈনিক সরোবর/আরএস