তিন দফা দাবিতে গণভবনের সামনে সোহেল তাজের অবস্থান
প্রকাশিত: নভেম্বর ০২, ২০২৩, ০৭:৫৮ বিকাল

জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে গণভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)। সঙ্গে রয়েছেন তার জ্যেষ্ঠ বোন শারমিন আহমদসহ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা না করে সেখান থেকে যাবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ গণভবনের সামনে অবস্থান নিলে গণভবনের একাধিক প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তাঁকে গণভবনের ভেতরে গিয়ে বসার আহ্বান জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
সোহেল তাজ সাংবাদিকদের জানান তাঁর দাবিগুলো হলো, ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
দুই বছর ধরে একই দাবিতে গণভবনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
গণভবনে যাওয়ার আগে সংসদ ভবনের সামনে সোহেল তাজ বলেন, আমরা একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে, মেধাভিত্তিক সমাজ হবে, দুর্নীতি থাকবে না, সবার শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অধিকার থাকবে। এমন একটি দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আমরা যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে আমাদের দেশ আরও ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হবে।
দাবিগুলো কেন মানা হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, আমি দুই বছর ধরে এই দাবি করছি। আমি জানতে চাই, এটা কেন করা হচ্ছে না? আমাকে উত্তর দিতে হবে। যদি উত্তর ন্যায়সংগত, যুক্তিসংগত হয় তাহলে আমি মেনে নেব। কিন্তু আমাকে বলতে হবে কেন দাবিগুলো মানা হচ্ছে না।
সংসদ অধিবেশন চলায় প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে ফিরতে রাত হবে জানানো হলে সোহেল তাজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল আজকে ক্ষমতায়। তবু কেন আমার দাবিগুলো মানা হচ্ছে না এর উত্তর আমাকে দিতে হবে। আমি গণভবনের বাইরেই অবস্থান নেব। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না নিয়ে আমি যাব না। একদিন, দুই দিন, পাঁচ দিন লাগলেও আমি এখানেই বসে থাকব।
দৈনিক সরোবর/এএস