তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ
প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৬, ২০২৫, ০৮:৫৩ রাত
'আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী'-সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে মতভেদ।
অন্তর্বর্তী সরকার ও অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব দলটিকে জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী করে নির্বাচনে দেখতে চায় না। বিএনপি আগের মতোই সিদ্ধান্তের ভার জনগণের বললেও আওয়ামী লীগের অবস্থানে এসেছে নাটকীয় বদল। ক্ষমতাচ্যুত চলটি ১৪ বছরের বক্তব্য পাল্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছে।
অন্তর্বর্তী সরকার, ছাত্র নেতৃত্ব ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতি কঠোর মনোভাব দেখালেও বিএনপির প্রতি নমনীয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপিকে দমনের কথা বললেও এখন এক সঙ্গে গণতন্ত্র পুনরূদ্ধারের ইচ্ছার জানান দিচ্ছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা এবং ছাত্রদের দল গঠন নিয়ে কথা বলার পর আওয়ামী লীগও সেটাতে তাল দিচ্ছে। বিএনপির মতো করে বলছে, জনগণের নির্বাচিত সংসদ প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।
'নৈশভোটে ১০৪১ কুশীলব'-দেশ রূপান্তর পত্রিকার শিরোনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতের ভোটখ্যাত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জালিয়াতির কুশীলবদের তালিকা তৈরি করেছে সরকার।
ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ছিলেন মরিয়া। আর গণতন্ত্র হত্যার মতো নির্দেশনাকে মেনে তা বাস্তবায়ন করতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন পুলিশ, প্রশাসন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
রাতের ভোটের কুশীলবদের এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি ৬৭৭ জন পুলিশ সদস্য।
জেলা প্রশাসক ও ইউএন রয়েছেন ৩৬৪ জন। রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের নামও। এর মধ্যে ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা আত্মগোপনে রয়েছেন। ১৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন আমেরিকা, লন্ডন, দুবাই ও ভারতে। সাবেক আইজিপি, পুলিশের সব কটি ইউনিটপ্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার ওসি, ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টরদের নাম রয়েছে এ তালিকায়।
তা ছাড়া রাতের ভোটের আরেক কারিগর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের নাম রাখা হয়েছে তালিকায়।
'যেভাবে ফারইস্ট লুট করে নজরুল খালেক গং'-মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, একসময় গ্রাহক চাহিদার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও আজ ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি বীমার টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ সবই হয়েছে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, এম এ খালেকসহ বেশ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে।
বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে জমি কেনা, বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ফারইস্টের মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিট (এমটিডিআর) বন্ধক রেখে পরিচালকদের ঋণ নেয়া এবং ক্ষতিকর বিনিয়োগ করে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তারা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব অর্থের হিসাব দিতে না পেরে দুদকসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন নজরুল-খালেকসহ এসব কর্মকর্তারা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএ'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার ইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে দুই হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এর বাইরে আরও ৪৩২ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে।
'দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া'-নয়া দিগন্ত পত্রিকার শিরোনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত দেশে ফিরে আসতে পারেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে 'ঐক্যের প্রতীক' হিসেবে বিবেচিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এমনটাই চিন্তা করছেন বলে দলীয় সূত্রের বরাত দিয়েছে জানিয়েছে পত্রিকাটি। ইতোমধ্যে লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকরাও একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে এতদিন যে আলোচনা হচ্ছিল, সেটি আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। তবে লিভার-কিডনিসহ শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে চিকিৎসকরা ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে লন্ডনে আলোচনা চলছে। কবে নাগাদ ফিরতে পারেন সেটি ঠিক না হলেও সপ্তাহখানেক পরে তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বেগম জিয়া হাসপাতাল থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠার পরেও তার সাথে যাওয়া মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যসহ অন্যরাও সেখানে অবস্থান করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এক সাথেই তারা দেশে ফিরবেন। কাতারের আমিরের দেয়া বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে দোহা হয়ে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। আমিরের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি লন্ডন থেকে ঢাকা ফিরতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
'প্রতি মাসে গড়ে ৩১৩ খুন'-কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
দেশে গত বছরের শেষ পাঁচ মাসে এক হাজার ৫৬৫ জন খুন হয়েছে। এতে প্রতি মাসে গড়ে খুন হয়েছে ৩১৩ জন। এ সময় হামলাকারীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে দেড় সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়। পুলিশ সদর দপ্তর, হাসপাতাল ও হতাহতের পরিবার সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। চলতি বছরের শুরুতেও এই অপরাধমূলক ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসের ২৫ দিনে দেশে প্রতিদিন একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম গতকাল শনিবার বিকেলে বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। পুলিশের সব ইউনিট প্রধানকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
চলতি মাসের গত ২৫ দিনে দেশে প্রতিদিন একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতি। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও বেশির ভাগ অপরাধী অধরা।
'শিক্ষার্থীদের ৪৪% পড়ছে নিজস্ব অর্থায়নে'-বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থী এক কোটি ৯৭ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখের কাছাকাছি।বাকিরা পড়াশোনা করছে বেসরকারিভাবে স্থাপিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অবৈতনিকভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাকি ৪৪ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর প্রায় সবাই পড়াশোনা করছে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীনতার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হওয়ার পরও প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বজনীন ও বিনা ব্যয়ে পড়াশোনার শতভাগ সুযোগ নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টিকে রাষ্ট্রের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষাবিদরা।
তাদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭তম অনুচ্ছেদে আইন দিয়ে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার কথা বলা রয়েছে।
'পুলিশের তল্লাশি, টহল কাগজেই'-প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, রাতে ঢাকার রাস্তায় পুলিশের টহল ও তল্লাশি নেই বললেই চলে। তাদের তল্লাশি চৌকি ও টহল দল কাগজে কলমে রয়েছে, তবে সড়কে দেখা যায় খুবই কম। এদিকে ছিনতাইয়ের আতঙ্কে বাস করছেন নগরবাসী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের আটটি বিভাগ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো তথ্য বলছে, রাজধানীতে দিন ও রাত মিলিয়ে এক দিনে পুলিশের অন্তত ৫০০ থেকে ৫১০ টি টহল দল কাজ করে। এর মধ্যে রাতে টহল দল থাকে অন্তত ২৫০টি।
টহল দলগুলো একদিনে ১২০ টির মতো তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করে। বেশি পরিচালনা করা হয় রাতে।
ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় রাতে সরেজমিনে ঘুরে এ প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র একটি এলাকা বাসাবোতে টহল পুলিশ দেখা গেছে। গুলশানে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুইটি তল্লাশি চৌকি বা চেক পোস্টের পার্শ্ববর্তী পুলিশ বক্সে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। অথচ তাদের সড়কে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি চৌকি পরিচালনা করার কথা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি বা সংকটের কথা বলে এভাবে মাসের পর মাস মানুষকে নিরাপত্তাহীনতায় রাখা যাবে না। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা শঙ্কা দূর করে স্বস্তি ফেরাতে হবে।
'Govt, political parties lose sight of critical economic challenges: Biz leaders'-দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার শিরোনামের অর্থ ব্যবসায়িক নেতারা বলেছেন সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো অর্থনীতির চ্যালেঞ্জকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে কারণ সরকার বা রাজনৈতিক দল কেউই অর্থনৈতিক যে চাপ আসছে সে সমস্যাগুলির সমাধান করছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না।
শনিবার দুইটি পৃথক অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেছেন। গত সপ্তাহে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করার পর ব্যবসায়ী নেতারা মন্তব্য করেছেন ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির অভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী অর্থনৈতিক ইস্যুগুলির চেয়ে অন্যান্য বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনা করেছেন।
'৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে কাগজের কৃত্রিম সংকট!'-দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার শিরোনাম। আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্য না বাড়লেও কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ৩৪৫ কোটি টাকা। তার পরও চলতি বছর দেশের কাগজের মিল মালিকরা দফায় দফায় বাড়িয়েছেন কাগজের মূল্য। পাঠ্যবই ছাপানোর মৌসুমে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি টন কাগজের মূল্য বেড়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা। চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে প্রয়োজন এক লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ। সে হিসাবে কাগজ মিলের মালিকরা ঐ বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পাচ্ছে না পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দেশের ১১৬ ছাপাখানা। কাগজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ছাপাখানা গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে বই ছাপানো বন্ধ রাখছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
'Admission woes deepen for students’-দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যে সমস্যা পোহাতে হবে সেটি এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। কমপক্ষে ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস্টার-ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে আর অংশগ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুকদের বাড়তি ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজেরাই ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাস্টারের আওতাধীন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে ভেঙে গেছে।
সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাস্টারের অধীনে থাকা ২৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্য সাতটিও ক্লাস্টার থেকে বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জিএসটি ক্লাস্টার ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত কথা জানিয়েছেন।
‘আমরা আশাবাদী যে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আমাদের সাথে থাকবে যাতে আমরা ক্লাস্টারের অধীনে পরীক্ষা দিতে পারি’-বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছে। একইসাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্লাস্টারের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে।সূত্র:বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/ইএইচপি