আবার ঝুঁকির আশঙ্কা পুলিশে
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৭, ২০২৪, ০৮:৪৭ রাত

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম-থানায় থানায় গ্রেপ্তার কোটা। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রথমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও ধরা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বার্তার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের ধরতে এ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে চার হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বার্তা যাওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থানাগুলোকে একধরনের ‘গ্রেপ্তার কোটা’ বেঁধে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কোটা অনুযায়ী, প্রতিদিন মামলার ডজনখানেক আসামিকে ধরতে বলা হয়েছে।
তবে আসামি গ্রেপ্তারে এমন কোটা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পুলিশের মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে এবারও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে সরকার বদলের পর তাদের আবার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
রাজশাহী রেঞ্জের একটি থানায় কর্মরত এক পুলিশ জানান, জেলা থেকে তাদের থানায় গ্রেপ্তারে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১৫ জন করে স্থানীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে কেউ খেয়াল খুশি মতো মামলা করলে, সেই মামলায় যাকে-তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এমন ঝুঁকি তারা আর নিতে পারবেন না, যে কারণে পরবর্তী সময়ে তাদের জীবন চলে যায়।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম-জেলে না গিয়ে বঙ্গভবনে শপথ নিলাম: ড. ইউনূস।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ নানা খাতে সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
সেই সাথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে এসেছেন তিনি। প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাতকারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের নানা বিষয় তুলে ধরেন। যেখানে সরকার পতনের দু’দিন আগে তিনি জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরছিলেন। হঠাৎ করে জেলে না গিয়ে তিনি বঙ্গভবনে গিয়ে শপথ গ্রহণ করলেন।
দায়িত্ব নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতেও আহ্বান জানানো হয়েছিল সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। মাফ চেয়েছি বরাবর। এবার ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি। এ জন্য দায়িত্বও নিয়েছি।
এই বিরাট পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্র নেতাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না। আমার অফিস থেকে বলা হয়েছে: `স্যার এখন ফিরবেন না। এলেই বোধ হয় আপনাকে জেলে নিয়ে যাবে।‘
`এ সময় ছাত্রদের একজন আমার অফিসকে জানাল যে আমার সঙ্গে আলাপ করতে চায়। ছাত্রদের কথা এই প্রথম শুনলাম। জানতে চাইলাম, কী আলাপ করতে চায়। তখন আমাকে জানানো হলো, আপনাকে সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে’-তিনি বলেন। ড. ইউনূস শুরুতে রাজী না হলেও ছাত্ররা তাকে জানায়, স্যার আর কেউ নেই। আপনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। অবিলম্বে আসতে হবে। পরে তিনি সম্মতি দেন।
ওই সাক্ষাতকারে তিনি সংকটময় পরিস্থিতির বিষয়ে তার মূল্যায়ন তুলে ধরেন এবং সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানান। সেই সাথে সংস্কার কাজে তার প্রধান তিন লক্ষ্যের বিষয়েও ব্যাখ্যা করেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম- সংলাপে চাওয়া পাওয়া। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কার শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় শনিবার বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংলাপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার কাজ শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে। সংলাপে কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন নানামুখী সংস্কারের, আবার কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন কেবল নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের। তবে নির্বাচনই এক নম্বর অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় জামায়াত নেতারা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম জোটের নেতারা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য প্রধান অংশীজন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখনই আলোচনা শুরু করার কথা জানিয়েছে।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম-সোয়া ১২ কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডার: নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম আছে সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের।
এই ভোটারদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্যভান্ডার বা ডেটা সেন্টার গড়ে তুললেও এখন সেই সার্ভারের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ এখন আর ইসির হাতে নেই।
এর নিয়ন্ত্রণ এখন বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির হাতে। ডেটা সেন্টারের ক্রেডেনসিয়াল, সোর্স কোড, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম, সিস্টেম আর্কিটেকচারসহ সবকিছুই ওই প্রতিষ্ঠান এবং এর সহযোগী আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে।
নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটাবেজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।
গত ৫ই অগাস্ট সরকার পতনের এক মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার।
এরপর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে টাইগার আইটি ও আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। তবে অনিষ্পন্ন অবস্থায় ওই বৈঠকটি শেষ হয়েছিল।
কারণ বৈঠকে কিছু কিছু সফটওয়্যারের সোর্স কোড ‘নিজস্ব বুদ্ধিভিত্তিক উদ্ভাবিত সম্পদ’ (ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি) উল্লেখ করে তা ইসিকে হস্তান্তরে আপত্তি জানান প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে টাইগার আইটির পরিচালক বলেন, ডেটাবেজের স্কেমা, এপিআই-এর সোর্স কোড, ক্রেডেনসিয়াল, প্রতিটি মডিউল বা ফাংশনের অ্যালগরিদমসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ইসিকে বুঝিয়ে দেব।
তবে অটোমেটিক বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন (এবিআইএস) সিস্টেমের কোর ম্যাচিং অ্যালগরিদম টাইগার আইটির নিজস্ব উদ্ভাবন হওয়ায় এর সোর্স কোড দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।নির্বাচন কমিশন সচিবের দাবি, সোর্স কোড ডেটা সেন্টারের চাবির মতো। ঘরের চাবি অন্যের কাছে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
সংবাদের প্রধান শিরোনাম-সামাজিক নিরাপত্তা: তালিকা পর্যালোচনার আগে আর ভাতা ছাড় নয়। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেয়া ভাতার ৪১ শতাংশ সঠিক ব্যক্তিরা পাচ্ছেন না বলে দাবি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদের। এজন্য তালিকা পর্যালোচনার আগে ভাতা ছাড় করা হবে না বলে তিনি জানান।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রথম বয়স্ক ভাতা চালু হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভাতা ও চালু হয় এবং উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে যে প্রকৃত হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের স্বজনদের তা বিতরণ করা হচ্ছে।সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকার ভোগীর তালিকায় প্রতি দশ জনের মধ্যে চারজনই ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
মূলত ইউনিসেফের একটি জরিপ প্রতিবেদন থেকেই তিনি জানতে পারেন যে উপকারভোগীদের মধ্যে ৪১ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বলেন, ত্রুটিগুলো আমাদের খতিয়ে দেখার চেষ্টা করতে হবে জলদি করে শুধু দিয়ে দিলে হবে না যাকে দিতে চাচ্ছি সে পাচ্ছে কিনা সেটা আমাদের বুঝতে হবে।
কয়েক মাস ধরে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীভাতা সহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা বন্ধ আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নগদের বিষয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে এটা আমরা পরিবীক্ষণের মধ্যে রাখছি।
সারা দেশে বর্তমানে এক কোটি ২০ লাখ উপকারী রয়েছে এর মধ্যে যারা বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পান তারা মাসে ৫০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা মাসে ৮৫০ টাকা পান। এই অর্থ তাদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম-Thousands in shelters as flash flood worsens.অর্থাৎ, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
পানির প্রবাহে নদীগুলো উত্তাল হয়ে ওঠে এবং এর প্রভাবে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার অর্ধডজন স্থানের বন্যা রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে। রবিবার এই আকস্মিক বন্যা ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এমন অবস্থায় হাজার হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। ওই বিভাগের মানুষ গত তিন দিন ধরে বন্যার কবলে ধুকছে।
হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘর ও রাস্তার বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাছের খামারও ভেসে গেছে।
বন্যার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টসহ নানা কারণে আরও তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে বন্যার কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছয় জনে গিয়ে ঠেকেছে।অন্যদিকে শেরপুরের উপকূলে ভেসে যাওয়া একটি লাশ ভারত থেকে আসা পানির ধাক্কায় বাংলাদেশে বয়ে এসেছে ধারণা করা হচ্ছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত দৈনিক দুর্যোগ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ২০ হাজার মানুষ শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলায় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এবং আরও এক লাখ ২৫ হাজার ২৪০টি পরিবার আটকা পড়েছে। চলমান আকস্মিক বন্যায় স্থানীয় বয়স্করা বেশ স্তম্ভিত। তারা তাদের জীবদ্দশায় এমন বন্যা দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম-A year of Israel's invasion: Gaza still bleeds.অর্থাৎ, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনের এক বছর: গাজায় এখনো রক্ত ঝরছে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত এক বছরে প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত সাড়ে ১৬ হাজারই শিশু। পুরো গাজা এখন এক ধ্বংসস্তূপের শহর।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বছর পার হওয়ায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গাজা এবং লেবাননে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে মিছিল করেছে, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে খুব শিগগিরই যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
গত বছরের এই দিনে হামাস যোদ্ধারা গাজা সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে, প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং প্রায় আড়াইশ জনকে অপহরণ করে। পরদিন ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকে, গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এতে গাজা উপত্যকার মোট অবকাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্থ বা ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া ৬৮ শতাংশ ফসলি জমি এবং রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয় বলেবলে জাতিসংঘ স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে জানা যায়।
৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৭টি আংশিকভাবে কাজ করছে এবং সবগুলোই জ্বালানি, চিকিৎসা সরবরাহ এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে। গাজায় আনুমানিক ২০ লাখ ফিলিস্তিনি (জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি) বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজার কোন শিশু স্কুলে যেতে পারছে না। যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে, পুরো প্রজন্ম হারানোর আশঙ্কা তত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের ১১ জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ৪৬ লাখ টাকা।
জেলা হিসেবে নোয়াখালীতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি ত্রাণ গিয়েছে ফেনীতে। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে নোয়াখালীর পরেই রয়েছে কুমিল্লার অবস্থান। রবিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।
তাদের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ৩৫ ভাগ ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও অবকাঠামো খাতে।সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর মধ্যে কৃষি ও বন খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। সিপিডির আরেক গবেষক মুনতাসির কামাল জানান, অনেক এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ত্রাণ গিয়েছে বিশেষ করে উপজেলার কাছাকাছি যারা ছিল এরকম অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ত্রাণ পেয়েছে।
পরে আবার তারা সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। অনেক এলাকায় নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানে প্রয়োজন ছিল খাবারের। কোনো ব্যক্তি একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছেন, আবার অনেকেই পাননি।
সমকালের প্রধান শিরোনাম-বিপুল জায়গা হাতছাড়া: মহাপরিকল্পনা আটকা। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে এক সিটে দুই শিক্ষার্থীর ঘুমিয়ে বা এক টেবিলে দু’জন পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পার করলেও কারও যেন দৃষ্টিপাত নেই।
নতুন আবাসিক হলসহ অবকাঠামোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা নিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ঢাবি প্রশাসনের মহাপরিকল্পনায় বড় বাধা ভবন নির্মাণে জায়গার স্বল্পতা। এর মধ্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১২ একরের বেশি জমি হাতছাড়া হয়ে আছে। ঢাবির এস্টেট অফিসের অবহেলার কারণে এসব জমি নিয়ন্ত্রণেও নেওয়া যাচ্ছে না বলে আছে অভিযোগ।
ফলে ১৯২১ সালে ৬৫০ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়টির মানচিত্র এখন ২৭৪ একরে এসে ঠেকেছে।
ঢাবির জমিতে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো হলো–পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, শিক্ষা প্রকল্প ও উন্নয়ন গবেষণা ফাউন্ডেশন (ফ্রেপড), নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয়, এশিয়াটিক সোসাইটি ও এর সংলগ্ন বঙ্গবাজারের কিছু অংশ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবস্টেশন, নীলক্ষেত ও বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি উল্লেখযোগ্য। অবকাঠামোর সমস্যা দূর করতে ২০২১ সালে মহাপরিকল্পনা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তিন ধাপে ৯৭ নতুন ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এমই