ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

মেগা প্রকল্পের বেশির ভাগই নির্মাণ ব্যয়ে বিশ্বে শীর্ষে

সরোবর  ডেস্ক

 প্রকাশিত: আগস্ট ০৮, ২০২৪, ০৭:২১ বিকাল  

বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর-মেগা প্রকল্পের বেশির ভাগই নির্মাণ ব্যয়ে বিশ্বে শীর্ষে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশে চার-ছয় লেনের মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, রেলপথ, রেল সেতু, বিমানবন্দরের টার্মিনালের মতো যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, তার বেশির ভাগেরই নির্মাণ ব্যয় গোটা পৃথিবীতে সমজাতীয় প্রকল্পগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বা অন্যতম সর্বোচ্চ।

বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার পর্যালোচনার হিসাবেও বিষয়গুলো বারবার উঠে এসেছে। দেশের সবচেয়ে আলোচিত প্রকল্পগুলোর একটি পদ্মা সেতু। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি অর্থ খরচ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একইভাবে প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঢাকার ‘এমআরটি লাইন-৬’।

ঢাকার দ্বিতীয় (এমআরটি লাইন-১) ও তৃতীয় (এমআরটি লাইন-৫, নর্দান রুট) মেট্রোরেলের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় আরো বেশি। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় ২০০ কোটি টাকার বেশি, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে বিনিয়োগটা ভারী হয়, সেখানে যারা ব্যক্তিগতভাবে প্রকল্প থেকে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

সমকালের প্রথম পাতার খবর-, আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতাদের কে কোথায় বোঝা দায়। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতাই এখন লাপাত্তা। দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগর ছাড়াও কোনো পর্যায়ের নেতাদেরই খোঁজ মিলছে না। গ্রেপ্তার আতঙ্কে গা-ঢাকা দিয়েছেন প্রায় সব পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা। পাশাপাশি তাদের ঘনিষ্ঠ অনুসারীরাও বন্ধ রেখেছেন মোবাইল নম্বর। বেশিরভাগ নেতা দেশে পরিচিতজন কিংবা স্বজনের বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা।

সোমবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার সেনাপ্রধানের জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানের খবর জানতে পেরে এবং সেনা সদস্যরা ব্যারিকেড তুলে আন্দোলনকারীদের ঢাকা মহানগরীর ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ামাত্র পরিস্থিতি আঁচ করতে পারেন সবাই।  এ অবস্থায় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীই আত্মগোপনে চলে যান। একই অবস্থা ছিল সারাদেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতেও। এর মধ্যেই কিছু দুষ্কৃতকারী ঢাকায় আওয়ামী লীগের প্রধান তিনটি কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম-অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ আজ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৫ উপদেষ্টা শপথ নেবেন। এ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার চারশ মানুষ উপস্থিত থাকবেন। সরকারের প্রধান হিসাবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মনোনীত করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন এই সরকার।

বুধবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফলে সরকারপ্রধান হিসাবে শপথ নিতে তার কোনো আইনগত বাধা নেই।

এ সরকারের বাকি সদস্যদের নাম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই সরকার দায়িত্ব পালন করবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা, অন্য উপদেষ্টাদের নাম এবং সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
 
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম-Stay calm, refrain from violence. অর্থাৎ, ‘শান্ত থাকুন, সহিংসতা থেকে বিরত থাকুন।’  প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের শান্ত থাকার এবং জাতি গঠনে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউনূস সেন্টারের জারি করা এক বিবৃতিতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আরও বলেছেন, আমাদের তরুণ সমাজ এক নতুন পৃথিবী তৈরির জন্য নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।  আসুন আমরা যেকোন অর্থহীন সহিংসতার মধ্যে গিয়ে সুযোগটি হাতছাড়া না করি। সহিংসতা আমাদের শত্রু। দয়া করে আরও শত্রু তৈরি করবেন না।

দেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সহিংসতার পথ ধরলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। অনুগ্রহ করে শান্ত থাকুন। আপনার চারপাশের লোকদের শান্ত থাকতে সাহায্য করুন। এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অধ্যাপক ইউনূসকে খালাস দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।
 
এই শপথ গ্রহণের খবরই প্রায় প্রতিটি পত্রিকা তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে, এজন্য পত্রিকাগুলো প্রথমপাতার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো তুলে ধরা হল। নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর-BNP demands election at earliest possible time. অর্থাৎ, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও রেকর্ড করা বক্তৃতার মাধ্যমে সমাবেশে ভাষণ দেন।

এ সময় তিনি দক্ষতা, মেধা, জ্ঞান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে জাতি গঠনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। আমি হত্যা চাই না; আমি শান্তি চাই’- বলেন খালেদা। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে প্রতিহিংসার পথ পরিহার না করার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালে সাজা হওয়ার পর থেকে ছয় বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম জনসাধারণের সামনে এসেছেন খালেদা জিয়া।

আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর-নতুন বাংলাদেশ আ.লীগ ছাড়া সম্ভব নয়: জয়। এ খবরে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন দলটির সভাপতি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল বুধবার দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো গণতান্ত্রিক বড় দল। আওয়ামী লীগ মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ দেশকে স্বাধীন করেছে, আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, সারা দেশে ভাঙচুর, লুটপাট এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জয় বলেন, আপনারা সাহস নিয়ে দাঁড়ান। আপনারা একা না। আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন, তা করতে আমরা প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায় উল্লেখ করে জয় বলেন, আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তারা যদি জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা বাদ দেয়।
 
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর-সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা ও শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পদত্যাগের পর দুই দিন ধরে পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। এ অবস্থায় সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শত শত শিক্ষার্থীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখা গেছে। তারা গ্লাভস হাতে কোথাও সড়ক ঝাড়ু দিয়েছেন; কোথাও আবর্জনা কুড়িয়ে বস্তায় ভরেছেন। আবার শিক্ষার্থীদের অনেকে দলে দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকার দেয়াল ও সড়কদ্বীপে স্লোগান মুছে ফেলে আগের চেহারায় নিয়ে এসেছেন। এসব কাজে হাত দিয়েছেন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ধানমন্ডি, লালমাটিয়া ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতা ও দেয়াললিখন মুছে নতুন করে রং করার কাজ শুরু করতে দেখা গিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েক দিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ না করায় সড়কগুলোয় বেশ আবর্জনা জমেছিল। সকাল থেকে প্রায় স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে অর্ধশত শিক্ষার্থী পরিচ্ছন্নতার কাজে হাত লাগান।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবারও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নেবেন।
 
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর-তিন দেশে আশ্রয় খুঁজছেন শেখ হাসিনা! প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিনল্যান্ডে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দেশ ছাড়ার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন তিনি ‘স্বল্প সময়’ অবস্থানের কথা বলে তাদের এখানে আসেন। কিন্তু তিনি এখনো ভারতেই রয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। তবে সেখানে তার আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। শেখ হাসিনার পাসপোর্টে আগে থেকেই মার্কিন ভিসা থাকলেও দেশ থেকে পালানোর কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ইউরোপের মধ্যে হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি। ফিনল্যান্ডে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন কি না এমন প্রশ্ন করা হলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর- কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে ২০৯ বন্দী গুলিতে নিহত ৬।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেল থেকে ২০৯ বন্দী পালিয়ে গেছে। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে ছয় বন্দী নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কারাগারের বন্দীরা হঠাৎ বিদ্রোহ শুরু করে। তারা কারাগার থেকে বের হওয়ার জন্য বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এবং ফটক ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

কারারক্ষীরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে বন্দীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে সেনা বাহিনীকে খবর দেয়া হলে সেনাবাহিনী কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করে। বন্দীদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে। এ সময় গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস