ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

বরিশালের কিছু আঞ্চলিক কথ্যভাষার শব্দ

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ০৭:৫৪ বিকাল  

বরিশালে কথ্যভাষায় কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। যা বাংলাদেশের বাংলা অভিধানেও স্থান পেয়েছে। এই শব্দগুলো একান্তই বরিশাল এলাকার মানুষের মুখের কথা। এ পর্বে যে আঞ্চলিক শব্দগুলো দেয়া হলো তা মূলত বরিশালের উজিরপুর উপজেলা থেকেই সংগৃহিত।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শব্দগুলো সংগ্রহ করেছেন আমরা উজিরপুরের সন্তান (আউস)-এর অন্যতম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, জয়শ্রী, শিকারপুর, উজিরপুর, বরিশাল।

অ- 
১. অমান-দৈব ক্ষমতা। 
২. অহনে-এখন 
৩. অলমবুশ- বোকা, মোটাসোটা অর্থে। 
৪. অউদ্যা বাইঙ-বাইন মাছ, যা গর্তে থাকে এবং একটু মোটা হয়।
৫. অ্যাউত্তয়া-মাটির পাত্র।
৬. অইলদা-হলুদ রঙয়ের। 
৭. অগা- বোকা/বোগ্দা। 
৮. অজকোট-হাটু পর্যন্ত বিস্তৃত কোট। 
৯. অদেসটো-অদৃষ্ট/ভাগ্য।
১০. অজামাক্কা- হাবাগোবা 
আ-
১১. আমুহানে-পরে আসব। 
১২. আইচা-নারকেলের খোল বা খোসা। 
১৩. আমতা আমতা-ইতস্তঃত করা 
১৪. আইস্যা/আইসক্যা-আসার পরে (সাতলা, হারতা ও এলাকার হিন্দু খৃস্টান ধর্মাবলম্বীরা আইসক্যা শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন)। 
১৫. আইড্যা ক্যালা/দয়াক্যালা-বীচি কলা। 
১৬. আউগারি-অগ্রিম। 
১৭. আন্দাজ/আন্দাইজা-অনুমান। 
১৮. আছারি-দা, বটি, কুঠার, কোদাল ইত্যাদির ধরনি। 
১৯. আনাচ--তরকারি। 
২০. আদত-আসল/মূল। 
২১. আক্কল দাঁত-চোয়ালের শেষ দাঁত (অনেকে এটাকে বুদ্ধির দাঁত বলে)
২২. আহালি-চালের ভিতরের পাথর বা শক্ত অংশ। 
২৩. আরহুলি--ঢেঁকির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 
২৪. আল্লাদি-আদুরে। 
২৫. আরা-কাঠের ঘরের অংশ, যাহার উপরে পাটাতন খিলানো হয়। কাপড়-চোপড় রোদ দেয়ার বাঁশ। 
২৬. আচরা-ঘাস উঠানোর এক প্রকার চাষের উপকরণ 
২৭ আউক-ইক্ষু। 
২৮. আহাল-দুর্ভিক্ষ। 
২৯. আদার-পাখির খাদ্য। 
৩০. আন্ডা-ডিম। 
৩১. আসকারা-সাহস। 
৩২. আঙ্গার- জলন্ত কয়লা। 
৩৩. আগিলা -আগের/পুরনো দিন। 
৩৪. আবডাল-আড়াল। 
৩৫. আখাজা-অভদ্র। 
৩৬. আদরা-খাদরা-অসমতল 
৩৭. আমলহি-আমলকি 
৩৮. আম্বুল-জামরুল।
৩৯. আইজগো/আইজগা-আজকে (উজিরপুরের সাতলা, জল্লা, হারতা ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়সহ ওই এলাকার লোকজনকে শব্দের শেষে ‘গা’ ব্যবহার করতে দেখা যায়। 
সংগ্রহকারী: মোয়াজ্জেম হোসেন
সংগ্রহের স্থান: উজিরপুর উপজেলা
সংগ্রহের সময়-২৪-০৪-২০২১ ইংরেজি
মোয়াজ্জেম হোসেন 
০১৭১১১৮৩৭৬৬, ০১৩০৩০৩৯৬১৭