‘সাত খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয় বিএনপি’
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৭:৪৯ বিকাল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিল। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করায়। এমনকি সাত খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন,‘যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা দেশে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক সংশোধন করে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি-জামায়াত দেশকে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য। মাতৃভাষার আন্দোলন দিয়ে যাত্রা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তারই হাত ধরে আসে দেশের স্বাধীনতা।
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী বিএনপির দেশের জনগণের ওপর কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, উন্নতি না হলে এগুলো হয় কী করে?
বিএনপির কোনো শেকড় নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এরা (বিএনপি) অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, একটা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।
অত্যাচার আর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটা আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে এদেশীয় কিছু বেঈমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।
দৈনিক সরোবর/ আরএস