ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

‘মধ্যমণি জায়েদ’ না খেয়েই চলে যান কাঞ্চন, বিরক্ত রোজিনা

বিনোদন ডেস্ক

 প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০৫:৪২ বিকাল  

সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী  ১৬ জুন। এ উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ‘ফিরে দেখা’ টিমের সদস্যরা। রোজিনার ডাকে এই আয়োজনে ফিরে দেখা সিনেমার  শিল্পী না  হয়েও হাজির হোন, অঞ্জনা, অরুনা বিশ্বাস, বাপ্পরাজ, চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ জায়েদ খানসহ অনেক তারকা।

‘ফিরে দেখা’ছবিটির গল্প, চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন রোজিনা।  এছাড়া সরকারি অনুদান সংগ্রহ করে, সহ-প্রযোজনাও করেছেন তিনি।

মঞ্চে সঞ্চালনা করছিলেন পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস। তার দিকে তাক করা কয়েকডজন টিভি ক্যামেরা, অপেক্ষা কখন শুরু হবে চূড়ান্ত অনুষ্ঠান, একে একে বক্তব্য দিতে আসবেন রোজিনা, ইলিয়াস কাঞ্চন, নিরব ও স্পর্শিয়ারা। কারণ তারাই এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি। অনুষ্ঠানটি তাদের অভিনীত সিনেমা ‘ফিরে দেখা’ নিয়ে। 

অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন শুরুর ৩০ মিনিট পরই উপস্থিত হোন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তার উপস্থিতিতে হুলস্থুল পড়ে যায় ইউটিউবারদের মধ্যে। ক্যামেরা নিয়ে ছুটে আসে জায়েদের দিকেই। মঞ্চে যাওয়ার আগেই তাকে আটকে ফেলে ইউটিউবাররা। শুরু হয় তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়েই টানা ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় জায়েদ খানের ইন্টারভিউ নেন ইউটিউবাররা। এ সময় ইউটিউবারদের কাছে মধ্যমণি হয়ে উঠেন এই নায়ক। তার সঙ্গে অনুষ্ঠান আগত অনেকেই ছবি তুলতে থাকেন।

সবাই যখন জায়েদ খানকে নিয়ে ব্যস্ত মঞ্চে তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন রোজিনা ও ইলিয়াস কাঞ্চনরা। এক পর্যায়ে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন রোজিনা। ক্যামেরা সরিয়ে মূল অনুষ্ঠানের দিকে ফোঁকাস করতে বলেন সবাইকে। কিন্তু কে শুনে কার কথা! চলতেই থাকে তাদের সাক্ষাৎকার পর্ব। এতে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করে একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। 

বিরক্তিকর মুখে রোজিনা বলছিলেন, ‘আমি তো এদের দাওয়াত দেইনি। এরা কিভাবে এলো। আমি তো শুধু সাংবাদিকদের বলেছি।  ইউটিউবার কাউকেই আমি বলিনি। এভাবে অনুষ্ঠানের মাঝে অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথাবার্তা বলা বা সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য হুলস্থুল করার কোনো মানে হয় না।’

‘ফিরে দেখা’ নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছেন রোজিনা। ২০২১ সালের মার্চে শুরু হয় ছবিটির শুটিং। এই ছবিতে রোজিনার সঙ্গে আছেন কিংবদন্তি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনও। অনুষ্ঠানের শেষ করার পর ক্যামেরার আধিক্যের কারণে খাবার না খেয়েই চলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। যাওয়ার আগে হাত বাড়িয়ে বলে যান, ‘এই এতো এতো ক্যামেরার কারণে থাকা হচ্ছে না। এতো ক্যামেরার কারণে খাবার না খেয়েই চলে যাচ্ছি।’