ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

বাঁচানো গেল না গলায় ফাঁস নেওয়া জবির শিক্ষার্থী আহাদকে

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৬:০১ বিকাল  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার দুদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আহাদ চট্টগ্রাম জেলার সিতাকুণ্ড উপজেলার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।

ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বায়েজিদ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আহাদ। বুধবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সোমবার পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় একটি ভাড়া মেস থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আহাদকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল, পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় নেওয়া হয় ম্যাক্সএইড হাসপাতালে।

কিন্তু সেখানে এমআরআই সুবিধা না থাকায় আহাদকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে সেখানে তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে পরিবারের অনুমতি নিয়ে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।

আহাদের সহপাঠী ফিন্যান্স বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, “আহাদ ভাই কোনো প্রেম ঘটিত বিষয়ে জড়িত ছিলেন না। উনি ক্যারিয়ার নিয়ে ডিপ্রেশনে ছিলেন। চাকরি ও পড়াশোনা নিয়ে সবসময় চিন্তা করতেন। এসব কারণেই উনি হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

অধ্যাপক বায়েজিদ বলেন, সোমবার আহাদের ব্যাচের পাঁচটি কোর্সের মধ্যে তৃতীয় কোর্সের পরীক্ষা ছিল।

“ওই পরীক্ষা দিতে এসে সে পরীক্ষা কক্ষে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়। সে তখন বলে যে তার ঘুম হয় না, পেট ফাঁকা লাগে, কিছু খেতে পারে না। তখন তাকে আমরা শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার ব্যায়াম করানোর ব্যবস্থা করি। সে সুস্থ বোধ করলে এক্সাম দিতে যায় এবং পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে কোর্স শিক্ষককে জানায়।

"ওইদিন বাসায় গিয়ে সে রুম বন্ধ করে রাখলে তার রুমমেটরা দরজা খুলে দেখে গামছা পেঁচিয়ে সে ঝুলে আছে। তার পা দুটো মাটি ছুঁয়ে ছিল বলে জানতে পারি। শুনেছি ছেলেটা 'ওভার থিংকিং' সমস্যায় ভুগছিল, চাকরি বাকরি নিয়ে টেনশন করত।"

দৈনিক সরোবর/ইএইচপি