ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

সম্পত্তির বিরোধে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪, ০৬:১১ বিকাল  

পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধের জেরে চাচা কাজিমুদ্দিনকে হত্যা করেছে ভাতিজা আবদুল লতিফ (৩২) নামে এক যুবক। হত্যাকাণ্ডটি নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কারণে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের পর র‌্যাব ছায়াতদন্ত করে রহস্য উদঘাটন ও আসামি আবদুল লতিফ খাঁনকে গ্রেপ্তার করেছে।

র‌্যাব বলছে, নিহত কাজিমুদ্দিনের সঙ্গে তার ভাতিজা আব্দুল লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ ছিল। এর জেরেই হত্যার শিকার হন কাজিমুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় নিহতের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির মালিক কাজিমুদ্দিনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহতের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা এটি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ধারণা করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে প্রচারিত হয়।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন, বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৪ একটি দল ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভাতিজা লতিফকে গ্রেপ্তার করে।

কমান্ডার মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আব্দুল লতিফ জানান, তিনি কাজিমুদ্দিনের বড় ভাইয়ের ছেলে। তার বাবা মৃত্যুবরণ করার পর থেকেই তিনি চাচাদের সঙ্গে বসবাস করতেন। লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তির অংশীদারত্ব নিয়ে চাচার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হতো।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুমে থাকার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিলেন কাজিমুদ্দিন। রাতে লতিফ ডেইরি ফার্মে গিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর‌্যায়ে ভাতিজা লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমের ভেতরে থাকা বটি নিয়ে চাচা কাজিমুদ্দিনের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন।

দৈনিক সরোবর/এএস