ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

পলকের মৌখিক নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ: তদন্ত প্রতিবেদন

সরোবর প্রতিবেদক 

 প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৭:৪২ বিকাল  

প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।

একইসাথে ইন্টারনেট বন্ধের জন্য দায়ী করা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারকে (এনটিএমসি)।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ই জুলাই পর্যন্ত দফায় দফায় মোবাইল ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়।

এই ইন্টারনেট বন্ধ এবং চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে করা হয়। এটি বাস্তবায়ন করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

এতে আরো বলা হয়, ১৭ জুলাই থেকে ৫ই অগাস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনএনটিএমসি এর নির্দেশনায় বাস্তবায়ন করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এ তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সাথে ইন্টারনেট বন্ধের কোন সম্পর্ক ছিল না।

ইন্টারনেট বন্ধের সাথে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছেবলে বিবরণীতে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান আছে বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস