ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

পণ্যের দর বেঁধে দিয়েই মাঠছাড়া 

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৪, ০৭:২২ বিকাল  

দৈনিক সমকাল শিরোনাম করেছে ‘কৃষি বিপণনের 'যৌক্তিক' দামে বাজারে তালগোল‘। প্রতিবেদনের ভাষ্য, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২৯ পণ্যের দর বেঁধে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা চলছে। রাজধানীসহ দেশের কোথাও নেই 'যৌক্তিক মূল্য' নির্ধারণের প্রভাব। উল্টো সব পণ্যের দর বেঁধে দিয়েই 'বিচারিক ক্ষমতা' নেই-এমন ধুয়া তুলে পুরোদমে মাঠছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

বাজারের এমন অস্থির সময়েও বন্ধ অধিদপ্তরের 'কৃষকের বাজার'। এমন কি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) পরিচালিত বাজারেও মানা হচ্ছে না দাম। অন্য মন্ত্রণালয় যেখানে নিজেরাই সুলভ দরে পণ্য বিক্রি করছে, সেখানে বাজারে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত রাখার মতো তেমন পদক্ষেপ নেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের। শিক্ষাঙ্গনে যৌন হয়রানির ঘটনার তথ্য-উপাত্তের বিশ্লেষণ তুলে ধরে, ‘যৌন হয়রানির ঘটনা বারবার’- শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো। প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। শিকার হচ্ছেন ছাত্রীরা।

কখনো কখনো নারী শিক্ষকরাও ভুক্তভোগী হচ্ছেন। দেশের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুই বছরে ২৭টি যৌন হয়রানির ঘটনা পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়েছে যৌন হয়রানি বিষয়ক অভিযোগ জানাতে গঠিত ‘অভিযোগ কমিটি’তে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই কমিটি গঠন করা হয়। তবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটির কার্যকারিতা কম। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এই কমিটির কথা জানেনই না।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেক অভিযোগ এই কমিটিতে জমা হয় না। অনেক ঘটনা শিক্ষার্থীরা গোপন রাখেন হয়রানির ভয়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও তা গোপন রাখা হয়। ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবে ঘটনা প্রকাশ্যে এলে সক্রিয় হয় প্রশাসন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার যৌন হয়রানির অভিযোগ করার পর তা গোপন রাখে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর কার্যালয়। তারা ঘটনাটিতে ব্যবস্থা নেয়নি। ‘হয়রানি ও হুমকি’র মুখে ফাইরুজ ১৫ মার্চ কুমিল্লায় নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন।

ঘটনার আগে ফেসবুকে লিখেছেন, তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এর জন্য দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তার (ফাইরুজ) সঙ্গে বাজে আচরণ করেছেন।

`আবার বোয়িং প্রলোভন’-দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, লোকসানের দোহাই দিয়ে প্রায় ১৮ বছর আগে ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ রুটে আবার ফ্লাইট চালু করতে আগ্রহী সরকারি বিমান সংস্থাটি। এ নিয়ে সরকারের হাইকমান্ড মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে। কিন্তু এ রুটে ফ্লাইট চালুর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ দেশটির সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিমানমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

কয়েক দিন আগে মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজ কিনলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালুর ব্যাপারেও তারা আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। নাম প্রকাশ না করে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালু করতে যুক্তরাষ্ট্র বোয়িংয়ের বিষয়টি সামনে এনেছে। তারা অফিশিয়ালি না বললেও আকার ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে বোয়িং কিনলে বিমানের নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালু করাসহ সব ধরনের সুযোগ দেবে। ওই কর্মকর্তা আশা করছেন, বিমানের ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট দ্রুত চালু হবে।

`জ্বালানি তেলের দাম কমার সুফল মিলছে না’ -এটি দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করেছে সরকার। প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য কমেছে। কিন্তু প্রতিবেদক সরেজমিন দেখতে পেয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমলেও গণপরিবহনে ভাড়া কমেনি। তাছাড়া, নিত্যপণ্যের দামও কমেনি বলে সাধারণ ভোক্তারা জানিয়েছেন।

রাজধানীতে চলাচলকারী একজন বাসযাত্রী অভিযোগ করে জানান, জ্বালানি তেলের দাম কমার সুফল তো আমরা সাধারণ জনগণ পাইনি। তাহলে ঢাকঢোল বাজিয়ে দাম কমানোর ঘোষণা দিয়ে লাভ কী হলো। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতি মাসেই মূল্য সমন্বয় করা হবে। আগামী মাসে জ্বালানির তেলের দাম কমবে নাকি বাড়বে এমন প্রশ্নও এখন অনেকের মাঝে।

মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বিঘ্নিত হওয়ার খবরটি প্রাধান্য পেয়েছে দৈনিক বণিক বার্তায়। শিরোনাম- `বৃষ্টির পর আধঘণ্টা বন্ধ মেট্রোরেল’। প্রতিবেদনের বক্তব্য, কারিগরি ত্রুটির কারণে আবার বন্ধ হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। গতকাল বিকাল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ ছিল এ নগর পরিবহন সেবা। কী কারণে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল, তা জানাতে পারেননি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে যাত্রীরা বলছেন, গতকাল বেলা ৩টার পর হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির পর যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টির কারণে মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থায় (ওভারহেড ক্যাটেনারি) গোলযোগের কারণে এমনটি হতে পারে। যাত্রীদের আরেকটি অংশ বলছেন, সচিবালয় স্টেশনে ট্রেনের একটি দরজা বন্ধ না হওয়ায় পরিষেবাটি বন্ধ হয়ে যায়।

‘হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার রায়: সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৮ আসামিকে ৫-১৭ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা’-এই উপশিরোনামের সঙ্গে বিচারকের পর্যবেক্ষণ থেকে উদ্ধৃত করে দৈনিক যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে- ‘মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক ঋণ জালিয়াতির এক মামলায় এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ৫ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারি দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা। যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু যে আইনে মামলা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর গুরুত্ব পেয়েছে অন্যান্য পত্রিকায়ও।

এ নিয়ে দ্য নিউ এইজের শিরোনাম- ‘Tanvir, wife among 9 jailed for life over Sonali Bank-Hallmark scam’- প্রায় তিন হাজার সাতশ' কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ১১টি মামলা করে। তারমধ্যে একটিতে হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের পাঁচ কোটি টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ভয়াবহতা উঠে এসেছে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে। শিরোনাম করা হয়েছে,-‘Bangladesh breathed worst air last year. গত বছর বাংলাদেশের বাতাসের মান বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত ন্যূনতম মানেরও ১৫ গুণ বেশি ছিল দেশটির বায়ুর দুরাবস্থা। ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বাতাসে থাকা আড়াই মাইক্রনের বস্তুকণার বার্ষিক গড় প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ মাইক্রোগ্রাম।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে ওয়াকবিহাল থাকার দাবি করে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এই অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। এর কোনো রাতারাতি সমাধানও নেই। `ইতোমধ্যেই দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকার সমাধানের লক্ষ্যে এগুচ্ছে’- যোগ করেন তিনি।

ঢাকায় বুধবারের বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও যানজট নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের শিরোনাম, ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজধানীতে গতকাল বিকেলে হঠাৎ মুষলধারায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই ইফতারের আগ মুহূর্তে ঢাকায় যানজট থাকে। গতকাল বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে শেষ বিকেলে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।ফলে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হন বহু মানুষ।

নিউমার্কেট, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, শান্তিনগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিকেলের ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টির পর ওই এলাকার রাস্তায় রাস্তায় পানি জমে যায়। ফলে যানবাহনগুলো গতি কমিয়ে চলতে হয়। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয়। তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস