ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

আগ্রাসী হয়ে পড়েছে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারিরা 

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৮:৪৩ রাত  

সমকালের প্রথম পাতার খবর-থানা লুটের অস্ত্রে চলছে আধিপত্যের লড়াই। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গেল ৫ অগাস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারিরা ক্যাম্পের দখল নিতে আরো আগ্রাসী হয়ে পড়েছে।

প্রতিপক্ষ ঘায়েলে বাড়িয়েছে অস্ত্রের মজুত। আন্দোলনের পর সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে থানা থেকে লুট করা কিছু আগ্নেয়াস্ত্র তারা নানাভাবে সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি কিনেছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র।

তথ্য বলছে, ক্যাম্পের চারটি মাদক কারবারি চক্রের কাছে এখন ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র আছে। তাদের সংঘর্ষ ও গুলিতে এ পর্যন্ত শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, শীর্ষ মাদক কারবারি ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিমের বিরোধ দীর্ঘদিনের। কয়েক মাসে এই শত্রুতা আরও দানা বেঁধেছে। ফলে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে তারা।

পুলিশের দাবি, মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেক অভিযানে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তবে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা এখানে থাকে না, মাঝে মধ্যে এসে সংঘর্ষে জড়ায়।

মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর- ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। প্রতিবেদনে মূলত বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এই খবরটি সবগুলো পত্রিকার প্রথম পাতায় জায়গা পেয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।

ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে বলে তিনি জানান। সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বিএনপি অফিসে। সেখানে শক্তিশালী সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি শেখ হাসিনার সময়ে গত ১৫ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে যেসব উদ্যোগ ও চুক্তি করা হয়েছে তার বেশ কিছুর সমালোচনা করেছে।

এএনআই’কে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গত নির্বাচন থেকেই আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এ সময়ে ভারতের হাইকমিশনার আমাদের অফিসে সাক্ষাৎ করেছেন। অবশ্যই এতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

বিএনপি’র মহাসচিব বলেছেন, তার দল ভারতকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, যদি তারা ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে ব্যবহার করতে দেবেন না।

তবে অতীতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এমন সংগঠনের কিছু নেতা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে রিপোর্ট আছে। আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম-সাকিবের শেষ কোথায়, কানপুর নাকি মিরপুর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে ওয়ানডে চালিয়ে যাবেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবসর নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি। এতে খেলা ছেড়ে পুরো বাংলাদেশ দল আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সাকিবের অবসর ঘোষণায়। তবে তিনি টেস্টের শেষ ম্যাচ কোথায় খেলবেন সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, তিনি অভিমান কিংবা কষ্ট থেকে নয়, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ দল, নির্বাচক প্যানেল ও বিসিবি—স্বাগত জানিয়েছে তার সিদ্ধান্তকে।

সংবাদ সম্মেলনের প্রায় শেষের দিকে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বললেন, কানপুর টেস্টের পর দেশের মাটিতে লাল বলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। এ নিয়ে ফারুক ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে কথা হয়েছে।

দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি দেশে আসার পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে থাকে, দেশে এসে সিরিজ খেলে বিদায় নিতে চাই। না হলে হয়তো এই কানপুরেই শেষ। কানপুর টেস্ট খেলেই যেহেতু সাকিবের ভারত সফর শেষ, বিদায় বলতে ঐতিহ্যবাহী মাঠ কানপুরকেই তিনি বেছে নিয়েছেন। নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম-Incessant rain strains life. অর্থাৎ, ‘অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের অবিরাম বর্ষণে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর তীরবর্তী ৩৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

নদীর তীরবর্তী কয়েক হেক্টর জমিতে রোপণ করা ডাল, মরিচ, কলা ও অন্যান্য সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত দুই দিনের প্রবল বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা পানির কারণে বৃহস্পতিবারও রাজশাহী বিভাগের পদ্মা নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকায় অব্যাহত বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা কারণ তাদের কেউ কাজের জন্য বাইরে বের হতে পারেননি। ফুটপাথের ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সৃষ্ট এই বৃষ্টি বুধবার রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় জুরাইন, গ্রিন রোড, মালিবাগ ও মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

অফিস এবং স্কুলগামীদের সকালে যাওয়ার পথে এবং সন্ধ্যায় ফেরার পথে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের সৈয়দপুরে। শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
 
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম-ডলার জোগাড়ে ইউনূস কারিশমা। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরেই অন্তত পৌনে সাত বিলিয়ন বা সাতশ কোটি ডলারের অর্থ জোগাড়ের প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে।

বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই বড় অঙ্কের ডলার পাওয়ার আশ্বাস এসেছে। ফলে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিক অস্থিরতা আর চরম ডলার সংকটের সময়ে সরকারের জন্য এটি বেশ আশা জাগানো পরিস্থিতি। এর বাইরেও চীনের প্রস্তাবে বড় বিনিয়োগের সোলার প্লান্ট স্থাপন, নেপালের পক্ষ থেকে জলবিদ্যুৎ, জ্বালানি আমদানিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তারও আশ্বাস এসেছে বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে। অর্থনীতিবিদরা এটাকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রাথমিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তবে এ জন্য ঋণের শর্ত মেনে নানা খাতের সংস্কারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ড. ইউনূস এবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েবা, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উইসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনায়ক ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যার সঙ্গেই তার বৈঠক হচ্ছে, সেখানে অর্থনৈতিক সহায়তা ও বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের পাশে থাকার আহ্বানকে এগিয়ে রাখছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সংকটময় সময়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এক সফরেই পৌনে সাত বিলিয়ন ডলার জোগাড়ের আশ্বাস পাওয়া খুবই আশা-জাগানিয়া।
 
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম-সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চায় চীন। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে চীনা বিনিয়োগ এলে সেটি আমাদের বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মাইলফলক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ড. ইউনূস বলেন, চীনের সোলার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিযোগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশে রফতানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকারের সুবিধা পাবে।

সোলার কোম্পানি ছাড়াও অন্যান্য চীনা প্রস্তুকারক তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে পারে সাক্ষাৎকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসকে ‘চীনের জনগণের পুরনো বন্ধু’ উল্লেখ করেন এবং তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারত্ব বাড়াতে উৎসাহিত করবে। চীন বাংলাদেশ থেকে আরো বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাবে। অধ্যাপক ইউনূস এই আন্তরিকতার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য অবস্থা থেকে বের করে আনার অদম্য প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম-দ্রুত রোডম্যাপের তাগিদ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না পাওয়ায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

তবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে দলগুলো। নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন।

তবে নির্বাচন, সংস্কার ও সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি রোডম্যাপ চান দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা।

তাদের মতে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। তা না হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকছেই। সেক্ষেত্রে বাড়বে সামাজিক অস্থিরতা, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হলে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষনেতাদের অভিমত-তারা যেহেতু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে ছিলেন, নির্বাচনি প্রস্তুতি আছে। রোডম্যাপ ঘোষণার পরপরই এককভাবে না জোটগত নির্বাচন করবেন-সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। সেজন্যই নির্বাচনের দরকার।
 
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম-বাংলাদেশে সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থন থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভাস্থলে গতকাল স্থানীয় সময় সকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকট, পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, সেই পরিস্থিতির আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কারপ্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম-Forging unity with islamist parties: Jamaat eyes large electoral alliance. অর্থাৎ, ‘ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলা: জামায়াতের চোখ বড় বড় নির্বাচনী জোটের দিকে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যে অভ্যুত্থান গত ৫ই অগাস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটিয়েছিল, তা কয়েক দশকের পুরনো বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জোটে ফাটল ধরেছে বলে মনে হচ্ছে।

এমন অবস্থায় জামায়াত সব ইসলামী দলকে এক ছাতার নিচে সমাবেশ করার চেষ্টা করছে। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো যখন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা সংস্কার এবং কবে নির্বাচন হওয়া উচিত সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যক্তিগত ও প্রকাশ্যে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দলটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত এবং গত ১৫ বছর ধরে তারা নানা চাপের মুখে ছিল। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েব-ই-আমীর আবুল কাশেম কাশেমীর মতে ইসলামী দলগুলোর একটি ভোট ব্যাংক থাকা উচিত।

তিনি বলেন, ইসলামি দলগুলো যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে সেজন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি অবশ্য বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
 
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম-৪৬ লাখ শ্রমিকের ৫৭ শতাংশই আশুলিয়া ও গাজীপুরের।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আটটি শিল্পাঞ্চলে গড়ে ওঠা কারখানায় কাজ করেন ৪৬ লাখেরও বেশি কর্মী। এর ৫৭ শতাংশই আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকায়। সাম্প্রতিক সময় এ দুই এলাকায় ব্যাপক শ্রম অসন্তোষ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু বন্ধও রাখতে হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কারখানাগুলো চালু হয়। আশুলিয়া ও গাজীপুরে শ্রমিকদের সিংহভাগ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ার বিষয়টি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন শিল্প মালিকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীভবন নয়, শ্রমিকের কর্মপরিবেশের ঘাটতি এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার অভাবই শ্রম অসন্তোষের কারণ। শ্রমিক প্রতিনিধিরা বলছেন, আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় শ্রমিকের সংখ্যা কম হলেও এখানে শ্রম অসন্তোষ হতো।

যদিও শিল্প মালিকরা বলছেন, শ্রমঘন এলাকা হওয়ায় এখানে সমস্যাও বেশি হয়। শ্রমঘন এলাকাগুলোয় অসন্তোষের গতি বদলাতে সময় লাগে না।’ কারণ, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব এলাকায় শ্রমিকদের নাগরিক সুবিধা বলে কিছু নেই। বিষয়টি নিয়ে কোনো সরকারই কখনোই মাথা ঘামায়নি। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস