ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

গরম বাড়লেই লোডশেডিং 

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৯:০৯ রাত  

বিদ্যুৎ খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম-এত বিদ্যুৎকেন্দ্র, তবু লোডশেডিং।

প্রতিবেদনের তথ্য, জ্বালানি নিশ্চিত না করেই একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। চাহিদাকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিবছর বড় সময় অলস বসিয়ে রাখতে হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। দিতে হয়েছে অলস কেন্দ্রের ভাড়া। খরচের চাপ সামলাতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়েছে, সরকারের দায় বেড়েছে। অথচ তিন বছর ধরে গরম বাড়লেই লোডশেডিংয়ে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েও পড়েছে একই সমস্যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল সোমবার গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে। তিন দিন ধরে লোডশেডিং বাড়ছে। ঢাকার বাইরে কোনো কোনো এলাকায় গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। প্রেসিডেন্টের দুবাই কানেকশন নিয়ে নানা কৌতূহল-দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, দুবাইতে পার্টনারশিপ ব্যবসা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেসিডেন্সি থাকার খবরে নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের দুবাই কানেকশন নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা কৌতূহল।

মানবজমিনের অনুসন্ধান বলছে, গত মার্চে সর্বশেষ দুবাই সফর করেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। সে সময় দুই রাষ্ট্রের যথাযথ প্রটোকলে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে দুই রাত কাটান। পরিভ্রমণ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশচুম্বী ভবন বুর্জ আল খলিফা। তার সম্মানে ছিল রিভার ক্রুজ এবং গালা ডিনারের আয়োজন। যেখানে আরব আমিরাতে বড় বিনিয়োগকারী প্রেসিডেন্টপুত্র আরশাদ আদনান রনিও অংশ নেন। দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র মতে, বিদেশে প্রেসিডেন্টের সহায়-সম্পত্তি থাকার তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের একাধিক সংস্থা বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয় বরং সরকারের অন্য অর্গান এ নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখছে।

তিনি বলেন, কোনো এক পর্যায়ে হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হবে, বিষয়টির আইনগত অনেক দিক আছে। প্রেসিডেন্টের নিজের ব্যাপার আছে। সার্বিক বিবেচনায় এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজে থেকে নাড়াচাড়া করতে চায় না। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুরিসডিকশনের মধ্যেও পড়ে না। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো মানবজমিনকে জানিয়েছে- প্রেসিডেন্টের একমাত্র ছেলে আরশাদ আদনান রনির দুবাইতে ব্যবসা রয়েছে।

সেটির সূত্র ধরেই দুবাইয়ের একটি কোম্পানিতে প্রেসিডেন্টের বিনিয়োগ এবং আমিরাতে রেসিডেন্সি বা বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন তিনি। দৈনিক বণিক বার্তার একটি শিরোনাম- রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা। যে কোনো সময় রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। বিশ্বস্ত একটি সূত্র বণিক বার্তাকে এমন তথ্য জানিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলে আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতে রায় এসেছিল, ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে মত জানিয়েছিলেন বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণার সময় একমাত্র বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা এতে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। পত্রিকার শীর্ষ শিরোনামে স্থান পেয়েছে বিদ্যুৎ খাত সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন যেখানে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার এক-পঞ্চমাংশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল; জ্বালানির অভাব, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলে তাৎক্ষণিক বিকল্প নেই বিপিডিবির। পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্ত শিরোনাম করেছে- আশুলিয়ায় ফের বিক্ষোভ।

প্রতিবেদনের তথ্য, সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মাত্র একদিন শান্ত থাকার পর ফের শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভের মুখে শিল্পাঞ্চলের ৭৯টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ডিইপিজেডসহ অন্যান্য কারখানাতে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক, স্টাফদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
 
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম-Country must be back in business without delay. অর্থাৎ অবিলম্বে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরাতে হবে। ব্যাংকার, কারখানা মালিক এবং টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পত্রিকাটির আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তাগিদ দেন বক্তারা। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, শ্রমিক ধর্মঘট এবং শিল্পখাতের নিরাপত্তাহীনতার প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির প্রতি আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতে নতুন প্রশাসনকে তাগিদ দিয়েছেন ব্যাংকার এবং উদ্যোক্তারা। ছাত্র আন্দোলনের সময় উৎপাদন এবং রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে।

রাজনৈতিক ডামাডোলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস করেছে। এখন বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের কাছে এ খাতের তথ্য পৌঁছে দিতে যোগাযোগ কৌশল প্রণয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ- শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত দেড় দশকে টাকা পাচারের স্বর্গরাজ্য ছিল বাংলাদেশ। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসনের অভাব আর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রশ্রয়ে এ দেশের টাকা খুব সহজেই পাচার হয়েছে ভিনদেশে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বলছে, এ সময়ে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সরকারের অন্তত সাতটি নজরদারি সংস্থা থাকার পরও সবার নাকের ডগায় এই বিপুল অঙ্কের টাকা চলে গেছে বিদেশে।

আর এই পাচারের প্রায় ৮০ শতাংশই হয়েছে বাণিজ্যের আড়ালে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, নজরদারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা আর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবসহ অন্তত এক ডজন কারণে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার হয়েছে। পুলিশের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক দেশ রূপান্তর। শিরোনাম-পছন্দের কর্তাদের কাঁধে চড়ানোর মাশুল।প্রতিবেদনের তথ্য, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু, দুই দফা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দিলে আইজিপি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসানের। তিনি যাতে আইজিপি হতে না পারেন এবং পরবর্তী সময়ে নিজের আইজিপি পদে যাওয়ার পথ সুগম করতে এসবির তৎকালীন প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে ম্যানেজ করেন বলে পুলিশে আলোচনা রয়েছে। একইভাবে অভিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ডিঙিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয় হাবিবুর রহমানকে। এ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতোই পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোতে নিজেদের ‘অতি পছন্দের’ লোকজনকে বসিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

মশা মারতে ‘কামান দাগাচ্ছে’ না কেউ-দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু মৌসুম ঘিরে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি নিয়ে সামনে এলেও এবার মশা মারতে কামান দাগাচ্ছে না কেউ! প্রজননের অনুকূল পরিবেশ পেয়ে রাজধানী তো বটেই, সবখানে এখন মশার রাজত্ব। মশক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার ঘনত্ব এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মাঠ পর্যায়ে অনেকেই হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

ফলে এডিস মশার ‘হটস্পট’ বিষয়ক কোনো তথ্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে আসছে না। যাদের মাধ্যমে এ তথ্য কেন্দ্রে আসার কথা, সেই জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক কারণে কর্মস্থলেই যাচ্ছেন না। এর মধ্যে আবার পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব শীর্ষ জনপ্রতিনিধিকে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বছর গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ১৬ হাজার ২৮৫ জনকে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। মারা গেছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই ৬৭ জন। ১ টাকা আয় করতে ব্যয় আড়াই টাকা, রেলওয়ের লোকসান নিয়ে- দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেড় দশক ধরে বছরে দেড় হাজার কোটি টাকা করে লোকসান গুনেছে রেলওয়ে। যদিও প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যয় করতে হয়েছে আয়ের আড়াই গুণ বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলওয়ের লোকসানের অন্যতম কারণ দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যয়। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং প্রায় সব ট্রেনে অর্ধেকের কম কোচ (বগি) নিয়ে চলাচলের কারণে লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে। অর্থাৎ শতভাগ কোচ নিয়ে যদি ট্রেন চলত এবং জনপ্রিয় রুটে যদি ট্রেনের সংখ্যা বাড়ত, তাহলে অপারেটিং রেশিও কমে যেত। পাশাপাশি অপারেশন বাড়াতে হবে পণ্য পরিবহনে। এতে রেলের আয় বাড়বে।

দৈনিক সরোবর/এএস