ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

ঢামেকে জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ তিনগুণ

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত  

উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীর অন্য দিনের তুলনায় তিনগুণ ভিড় এদিন দেখা যায় জরুরি বিভাগে। এই উপচেপড়া ভিড়ের কারণে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কিশোর বলেন, সকাল থেকে রোগীদের অনেক ভিড়। সকাল থেকে ১২পর্যন্ত ৫১২জন টিকিট নেন। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে।

তিনি বলেন, রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। জরুরি বিভাগে সবসময় জরুরি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। আগের দিনের তুলনায় তিনগুণ ভিড় আজ।

জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫১২জন টিকিট নেন, যা গত দিনের তুলনায় তিনগুণ। এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন অর্ধশত। এমন আগে কখন হয়নি। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের ভিতরে সেনাবাহিনী-বিজিবির পাহারায় চিকিৎসা চলছে রোগীদের।

নাকের সমস্যা নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ভাগ্নি জান্নাতকে (৫) নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন সাথী আক্তার। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নাকের ব্যথায় ভুগছে জান্নাত। সকালে এসে দেখেন বহির্বিভাগ বন্ধ। পরে জরুরি বিভাগে এসে টিকিটের জন্য দাঁড়ান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কোমরে ব্যথা নিয়ে আসেন সায়মা আক্তার (৩৮)। স্বামী ইসমাঈল হোসেন বলেন, গত এক বছর ধরে কোমরে ব্যথায় ভুগছেন স্ত্রী। আমরা জানতাম না হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধের কথা। সকালে এসে দেখি হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ। পরে জরুরি বিভাগে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াই। গাজীপুর থেকে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসেন রাকিবুল হোসেন (২৫)। ১৫ দিন আগে দুর্ঘটনায় হাত ভেঙে যায়। তিনি বলেন, তখন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে দেখিয়েছিলাম। ১৫ দিন পর ফলোআপ ছিল। আজ এসে দেখি আউটডোর বন্ধ। জানতে পারলাম চিকিৎসককে মারধর করায় বন্ধ। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

দৈনিক সরোবর/এএস