ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলসহ ১১দফা দাবি

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল  

বেসরকারি খাতে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি সামিট পাওয়ার ও ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। পাশাপাশি তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম না বাড়ানোরও দাবি জানান তারা। জ্বালানি খাতের উন্নয়নের জন্য এই সরকারকে অন্তত তিন বছর দায়িত্বে থাকা দরকার বলেও মনে করে সংগঠনটি।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘জ্বালানি খাত সংস্কার চাই: ক্যাব’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম।

তিনি বলেন, জ্বালানি খাতের ‘লুণ্ঠনমূলক ব্যয়’ পরিহার করতে না পারলে ভোক্তা তার জ্বালানি অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। বিগত সরকার জ্বালানি খাতে যে অলিগার্ক করে গেছে, বর্তমানে যারা এখনও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছে, তারাও সেই অলিগার্ক গ্রুপেরই লোক। তাই জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সেই অলিগার্কদের দ্রুত সরিয়ে দিতে হবে।

অন্তত তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম না বাড়ানোর আহ্বানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই জন্যে (জ্বালানি খাতের উন্নয়নের জন্য) বর্তমান সরকারকে ২/৩ বছর থাকতে হবে। আর জ্বালানি খাত থেকে ‘লুন্ঠনমূলক ব্যয়’ পরিহার করতে চাইলে সামিট-আদানির মত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে হবে।

আরো যেসব দাবি: সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোট ১১টি দাবি তুলে ধরা হয়। তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানো ছাড়া অন্য 

দাবির মধ্যে আছে: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ বাতিল এবং প্রতিযোগিতাবিহীন বিনিয়োগ ও ক্রয়-বিক্রয় 

আইন করে নিষিদ্ধ; বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসির অধীনে ‘জ্বালানি খাত সংস্কার কমিশন’ গঠন, বিইআরসিতে নিয়োগে পরামর্শ দিতে সার্চ কমিটি গঠন, জ্বালানি খাতের আওতাধীন বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও সংস্থায় বিভিন্ন পদে ক্যাডার 

কর্মকর্তাদের অপসারণ; পেট্রোবাংলা, বিপিসি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- স্রেডা এবং বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ পদে পরিবর্তন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পরিচালনায় মন্ত্রণালয়ের 

কর্তৃত্বের অবসান; ২০১২ সালে বিইআরসি প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের (পেট্রোল, ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, কেরোসিন ইত্যাদি) মূল্যহার নির্ধারণ সংক্রান্ত তিনটি প্রবিধানমালা কার্যকর করা; বিদ্যুৎ, প্রাথমিক জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের যে-কোনো পর্যায়ের দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ এবং 'জ্বালানি অপরাধী' হিসাবে তাদের বিচার করা: এবং‘কস্ট প্লাস’ নয় ‘কস্ট বেসিসে’ মুনাফাবিহীন সরকারি জ্বালানি সেবা।

দৈনিক সরোবর/এএস