জেনে নিন টয়লেটে ফোন ব্যবহারের ঝুঁকি

ফোনে কথা বলার চেয়ে বর্তমানে নিজেদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যেই মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন বেশি। মোবাইলের প্রতি আসক্তি এখন শুধু বড়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, শিশুরাও এখন ফোন ছাড়া খায় না, ঘুমায় না এমনকি খেলাধুলাও এখন ফোনক্রেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

বর্তমানে ছোট-বড় সবাই এখন ফোনে আসক্ত। আর এ কারণে অনেকে তো ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত কাটানোর কথাও ভাবতে পারেন না। তাই তো বাথরুমে বা টয়লেটেও ফোন নিয়ে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ কাটান। এই অভ্যাস যাদের মধ্যে আছে, তারা এখনই সতর্ক হয়ে যান। না হলে কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারেন।

গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোন নিয়ে যান টয়লেটে। সংখ্যাটি কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বর্তমান পরিস্থিতি।

বাথরুম বা টয়লেট জীবাণুর আতুরঘর। সেখানে দীর্ঘসময় কাটালে নানাভাবে জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বাথরুমে মোবাইল ব্যবহার করলে শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধতে পারে-

ইউটিআিই বা প্রস্রাবে সংক্রমণ নারীদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। এটি মারাত্মক এক ব্যাধি। পাবলিক ও অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা বেশি হয়। মোবাইল নিয়ে বাথরুমে গেলে সেখান থেকেও আসতে পারে ইউটিআইয়ের জীবাণু। তাই সতর্ক হন।

টয়লেটের কমোডে দীর্ঘক্ষণ বসে মোবাইল ব্যবহারে পাইলসের ঝুঁকি বাড়ে। এই অভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। টয়লেট করার সময় বেশি চাপ দিলে পাইলস হতে পারে।

ডায়রিয়া হওয়ার অন্যতম এক কারণ হলো নোংরা টয়লেট ব্যবহার করা। ডায়রিয়ার জীবাণু নানাভাবে ছড়াতে পারে, এমনকি বাথরুমে ফোন নেওয়ার কারণেও জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে পরবর্তী সময়ে হতে পারে ডায়রিয়া।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টয়লেটে দর্ঘক্ষণ ফোন নিয়ে পেটের সমস্যাও বাড়ে। এক্ষেত্রে জীবাণুর সংক্রমণ অবশ্যই একটা কারণ।

বাথরুমে ফোন নিয়ে গেলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মোবাইলে লেগে যায়। তারপর তা পুরো বাড়িতে ছড়াতে পারে। এক সময় এসব জীবাণু নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শরীরে কঠিন ব্যাধির সৃষ্টি করতে পারে।

টয়লেটে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে যে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই জীবাণু। যদি কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে এসব সংক্রমণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে শুধু শারীরিক ক্ষতিই নয় সময়ও নষ্ট হতে পারেন। তাই এই অভ্যাস ছাড়ুন। চেষ্টা করুন নিজেকে এর থেকে মুক্ত করতে। তথ্যসূত্র: হেলথশটস

দৈনিক সরোবর/এএস