ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

বাড়ছেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা 

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৮:৪২ রাত  

দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে খাবারের তালিকা কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খাবার কিনতে হয় ঋণ করে। এ বিষয়ে দেশ রুপান্তরের প্রধান শিরোনাম-`খাবারে ঋণ ৪০% পরিবারের’। ডব্লিউএফপির তিন মাসের জরিপের ভিত্তিতে রিপোর্টটি করা হয়েছে। এতে বলা হয় বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দীর্ঘমেয়াদে হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশের ৪৩ শতাংশ পরিবারকে ঋণ করে খাবার কিনতে হয়েছে। আর মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ ছিল খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়। এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ঋণ করে খাবার কিনতে হয় ৪০ শতাংশ পরিবারকে। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে চললে ভবিষ্যতে নেতিবাচক ফল পেতে হবে। বিশেষ করে, শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে, ফলে অতিমাত্রায় খর্বকায় শিশু দেখা যাবে। দেশে কর্মহীনতা বাড়বে।

`বিদেশি ঋণ ৮ বছরে দ্বিগুন’–দৈনিক প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে এটিকে। এতে বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নেওয়া বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি মার্কিন ডলারে, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। গত জুনের হিসাবে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৭৪ ডলারে (প্রায় ৬৩ হাজার টাকা)। আট বছর আগে এটা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি। বিদেশি ঋণ নিয়ে সরকার বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং করছে। রিপোর্টে বলা হয় জিডিপির অনুপাতে ঋণ এখনো সহনীয়। তবে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না বাড়লে ঋণ পরিশোধ কঠিন হবে।

`Govt fixes prices of 29 commodities’ –অর্থাৎ সরকার ২৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিল, ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে, কৃষি বিপণন বিভাগ পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগী, খাসি ও গরুর মাংস, বেগুনসহ এমন ২৯টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হয়। নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী গরুর মাংস ৬৬৪.৩৯ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১০০৩.৫৬ টাকা কেজি নির্ধারণ হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগী ১৭৫ টাকা ও বেগুন ৪৯.৭৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পরবর্তী নোটিশ না আসা পর্যন্ত এই দামেই পণ্য বিক্রি করতে বলছে সরকারের কৃষি বিপণন বিভাগ।

একই বিষয়ে সমকালের শিরোনাম–`২৯ পণ্যের দাম বেঁধে বাজারে লাগাম টানার চেষ্টা’। রমজান এলেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম, ব্যতিক্রম নয় এবারো। তবে এর লাগাম টানতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংসসহ ২৯টি পণ্যের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গতকাল এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর সারা দেশে তা কার্যকর হওয়ার কথা।

বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংস্থাগুলো। কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর জানিয়েছে রমজানে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও আমদানি স্বাভাবিক আছে। কোন পণ্যের ঘাটতি নেই, তারপরও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

`দ্রব্যমূল্যের চাপে আওয়ামী লীগ’– কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে সরকার বিরোধীদের আন্দোলন-কর্মসূচির চেয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশি চাপে আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল। এর পরও বাজার কারসাজি করে ভোক্তাদের পকেট কেটে অতি মুনাফা লাভের পথ ছাড়ছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের নীতি নির্ধারকরা। দলের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার মতে, আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে বড় অঙ্গীকার ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সরকারের সামনে এখন এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।

`ফারাক মাত্র ৩৬৫ দিন’–দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম। গত রমজানে থেকে এই রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পার্থক্য নিয়ে প্রতিবেদনটি। বলা হয়, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উত্তাপ কমছেই না। বরং বছর বছর বেড়েই চলেছে। পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ জিনিসপত্রের দাম আগের বছরের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উত্তাপ কমছেই না। বরং বছর বছর বেড়েই চলেছে। পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ জিনিসপত্রের দাম আগের বছরের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। এত হাঁকডাকের পরও রোজার পণ্যের বাজার বেসামাল।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে, যা গত বছর ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কাওরান বাজারে সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১১০০ টাকা কেজিতে, যা গত রমজানে ছিল ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। টিসিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার আলুর দাম ১০৮ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৩ শতাংশ, আদা (দেশি) ৬০ শতাংশ বেড়েছে। `রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে’–বণিক বার্তার খবর। এতে বলা হয় ভাড়া বাড়তে যাচ্ছে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের। মূলত ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে এ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছ থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, যা কার্যকর হতে পারে আগামী মাস থেকেই। `মধ্যরাতে উত্তাল জবি ক্যাম্পাস’-যুগান্তরের শিরোনাম। শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সহপাঠীর বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ন্যায়বিচার না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী। শুক্রবার রাতে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফাঁস দেওয়া ফাইরুজ অবন্তিকা আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় রাতেই সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে প্রাথমিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুর খবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পৌঁছানোর পরপরই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাতেই তারা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসন ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।

এ পরিস্থিতিতে উপাচার্য সাদেকা হালিম ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন ও অভিযুক্ত ছাত্রকে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে।

`Fire incidents keep rising’. – অর্থাৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে, ডেইলি স্টারের শিরোনাম। এতে বলা হয় নিরাপত্তার বিষয়ে দুর্বল পদক্ষেপের কারণে গত চার বছরের আগুনের ঘটনা বেড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে শুধু গত বছর ২৭৬২৪টি অগ্নিকান্ডে ১০২জন মারা গিয়েছে ও আগহ হযেছে ২৮১ জন। আর গত সাত বছরে অগ্নিকান্ডের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজারের উপর, যাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়া অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ এর অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

`২৩ নাবিক নিয়ে অজানা গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ’ –ইত্তেফাকের শিরোনাম। চারদিন পেরিয়ে গেলেও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রুসমেত জলদস্যুকবলিত বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর কোন কুলকিনারা হয় নি। মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারকাদ বন্দর থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করার পর শুক্রবার সেটিকে নিয়ে অজানা গন্তব্যে রওয়ানা হয় দস্যুরা। ইতিমধ্যে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে দ্বিতীয় পক্ষের হাতে হস্তান্তর করে জলদস্যুদের প্রথম গ্রুপটি জাহাজ থেকে নেমে গেছে। গতকাল পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি জাহাজটির মালিকপক্ষের। তারা কোন মুক্তিপণও দাবি করেনি এখন পর্যন্ত। জাহাজটি পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টা।

`Pirate move MV Abdullah within 4 miles of Somalia coast’ –দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শিরোনাম। এতে বলা হয় শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটি নোঙর তুলে আগের জায়গা থেকে চলতে শুরু করে এবং ৪৫ থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সরে যায়। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদব জিরান উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর ফেলেছে।

`ত্রাণের জন্য অপেক্ষামাণদের উপর ইসরাইলের ম্যাসাকার’–নয়া দিগন্তের শিরোনাম। বিস্তারিত বলা হয় ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের পৃথক দু’টি হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার প্রথম ঘটনায় গাজার মধ্যাংশের আল-নুসেইরাত শিবিরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়। পরে গাজার উত্তরাংশের একটি গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকবহরের জন্য অপেক্ষা করে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে অন্তত ২১ জন নিহত ও দেড় শ জনেরও বেশি আহত হয়।

এক বিবৃতিতে দখলদার সামরিক বাহিনী ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস