ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা সংসদে

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৩, ০৯:০৮ রাত  

গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল ৫৩টি গণহত্যা চালিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় বিপর্যস্ত গাজা। সেখানে তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধের কারণে খাবার, পানিসহ জরুরি পণ্যের মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর এ বর্বর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। এই গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘নিন্দা প্রস্তাব’ উত্থাপন ও পাস হয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাকাণ্ড বন্ধে জোর দাবি জানানো হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় সংসদের কর্মসূচি অনুযায়ী দিনাজপুর-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধি অনুয়ায়ী এই ইস্যুতে একটি সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব আনেন। পরে প্রস্তাবটির ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়।

কার্যসূচিতে উল্লিখিত তার প্রস্তাবটি হচ্ছে, সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের চালানো নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এই সংসদ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সকল বিবেকবান জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

২২ অক্টোবর চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফিলিস্তিন ইস্যুতে আলোচনার কথা জানান।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আট হাজার ৩০৬ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিন হাজার ৪৫৭ জন শিশু। নিহত নারীর সংখ্যা দুই হাজার ২৩৬ জন। এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া এ বর্বর হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ২১ হাজার ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন।

দৈনিক সরোবর/এএস