ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ১০:১০ দুপুর

ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ১৪ জেলায় ৩৩ জন মারা গেছেন। এতে উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার রাতের প্রথম ভাগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতের দিকে সিত্রাংয়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে। এখন এটি দেশের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট অতিক্রম করছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গেছেন চারজন। গাছ ভেঙে পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুজন এবং নড়াইলের লোহাগড়া ও বরগুনা সদর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ গেছে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর।
সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন এক শ্রমিক।
এ ছাড়া ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়ালধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পুলিশ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজকের (মঙ্গলবার) সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ১৫ জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।
দৈনিক সরোবর/এমকে