ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

ইবি প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ০৮:৪১ রাত  

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ৪৪ বছর পেরিয়ে ৪৫ বছরে পা রেখেছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা সভা, কেক কাটা, স্টুডেন্টস ই-পেমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা এবং আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। 

উদ্বোধন শেষে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল’ চত্বরে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। 

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে ৪৫তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

৪৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান। এসময় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে স্টুডেন্টস ই-পেমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সেল-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার। স্টুডেন্টস ই-পেমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘৪৪ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ব্যর্থতা আছে আবার অনেক সফলতাও আছে। তবে আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অর্জন প্রাপ্তির বিষয়গুলো যদি ভাবতে চাই তাহলে আমাদের চারটা অ্যাঙ্গেল থেকে ভাবতে হবে। তা হচ্ছে আমরা কতটুকু সন্ধান করেছি, সেখানে থেকে কতটুকু উন্মোচন করতে পেরেছি, নিজেরা কতটুকু সৃজন করেছি আর কতটুকুই বা আমরা বিতরণ করতে পেরেছি? আর যারা রিসিপিয়েন্ট এ তারাই বা কতটুকু উপকৃত হয়েছে? এই বিশ্লেষণটাই স্ব স্ব জায়গা থেকে যদি আমরা করতে পারি তাহলে সেটাই হবে এই জন্মদিনের প্রকৃত উপলব্ধি।

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রায় প্রত্যেকটি দাবিতে আমরা কাজ করার চেষ্টা করি, করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই শুভ দিনে আমরা যে কাজটি করতে যাচ্ছি (ই-পেমেন্ট) তা হলো স্মার্ট বাংলাদেশে এক ধাপ পা বাড়িয়ে দেওয়া। এগুলো তো একটা দিক আর সবচেয়ে পরিবর্তনের জায়গাটা হচ্ছে এই মনের জায়গাটা। মনকে যদি আমরা পরিশুদ্ধ করতে পারি। তাহলে একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে বা একটি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার যে দর্শন তা অর্জন করতে পারবো।’

দৈনিক সরোবর/এনএ