ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০৬:৫২ বিকাল  

শেয়ারবাজারে আবারও দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় আট গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।

এদিন গড়পড়তা সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার দামে বড় পতন হওয়ার পর বুধবার কিছুটা দাম বাড়ে। তবে আজ আবার কোম্পানি দুটির শেয়ার দামে কমেছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক চার পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকেনি। বরং লেনদেনের শেষদিকে ঢালাও দরপতন হয়।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৪৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১১২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ফু-ওয়াং সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন।

দৈনিক সরোবর/এএস