ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত যাপন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২, ১২:২৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহীত

ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্তমানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। ফলে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন দুই নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

শুক্রবার ভোর ৬টায় জেলার হাতীবান্ধার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ৫২.৭৪ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২.৬০)। যা বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, এরইমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পাশাপাশি জেলার অন্য নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। এতে ক্রমেই বাড়ছে দুর্ভোগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি ও জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, তাঁতিপাড়া, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজানের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রানীগঞ্জের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড, সিংঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে নিঘুম রাত কাটিয়েছেন।

হাতীবান্ধার চর সিন্দুর্না আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বিকেল থেকে হুহু করে বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কয়েকদিন থেকে রাতে ঘুম আসছে না চোখে। কখন কী হয়।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, সন্ধ্যা থেকে ক্রমে তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। এতে শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, বন্যাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

দৈনিক সরোবর/এমকে