পোস্তগোলা সেতু বন্ধ: ঢাকা-দৌলতদিয়ায় ভোগান্তির শঙ্কা
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ১১:৪১ দুপুর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (এন-৮: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মহাসড়কের তৃতীয় কিলোমিটারে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এর (পোস্তগোলা সেতু) দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
মেরামত চলাকালীন ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ- এই ১৬ দিন ভারী যানবাহন চলতে পারবে না এই সেতু দিয়ে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ ২১ জেলার যানবাহনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাড়তি যানজট হতে পারে। তবে বাস ও হালকা যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে পাঁচদিন। এই সময়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সওজ জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের তৃতীয় কিলোমিটারে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এর (পোস্তগোলা সেতু) দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিং কাজ করা হবে। এজন্য ভারী যানবাহনসমূহ (ট্রাক-পিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান, কনটেইনারবাহী লরি) ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত এবং হালকা যানবাহনকে (বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি) ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ- এই পাঁচদিন বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হলো।
পোস্তগোলা সেতুর (বুড়িগঙ্গা-১) সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় ঢাকাসহ ২১ জেলার যানবাহন চলাচলে বিকল্প সড়ক হিসেবে আলোচনায় রয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। ফলে আবারও যানবাহন ও যাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট। তবে এ রুটে ফেরি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট সংকটে চিরচেনা রূপে ফেরার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের চেয়ে ভয়াবাহ অবস্থার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম নৌপথ। বর্তমানে এ নৌপথে ছোট বড় ৮ থেকে ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে এবং দৌলতদিয়া প্রান্তের ৭টি ফেরি ঘাটের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ৩টি ঘাট। ফলে যাত্রী ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি ২১ জেলার যানবাহন সামাল দিতে ফেরি ও ঘাট বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আর যানবাহন আসলে সমস্যা নেই, এ বিষয়ে তারা প্রস্তুত রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ১২টি ফেরি দিয়ে যানাবাহন পারাপার করা হচ্ছে। চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব, প্রয়োজনে ফেরি ও ঘাট বাড়বে। সবকিছু পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।