ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২

দাম বেড়েছে ডিম ও পেঁয়াজের

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: আগস্ট ০৬, ২০২৫, ০৩:১৭ দুপুর  

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার একটি খবর-পেঁয়াজ ডিমের দাম চড়া এটি। এখানে বলা হয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে ফার্মের ডিমের দাম ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঢাকায় প্রতি ডজন ডিম (সাদা, লাল বা বাদামি) ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

যদিও বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৩৫ টাকা কম।

গত বছর এই সময়ে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে, গত বছর লাল বা বাদামি ডিমের প্রতি ডজন ১৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা বর্তমান দামের তুলনায় ১৫ থেকে ১৬ টাকা বেশি।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমে ডিমের উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে। এ ছাড়া, অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে, ফলে দাম বাড়ছে।

পেঁয়াজের ক্ষেত্রে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মজুদ কমে যাওয়া এবং সংরক্ষণের অভাবে পেঁয়াজ পচে যাওয়া ও চারা গজানোর সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাছাইয়ের পর ভালোমানের পেঁয়াজের সঙ্গে দাম সমন্বয়ের কারণে এর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Left parties avoid July Declaration ceremony. বা 'বামপন্থি দলগুলোর জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান বর্জন'— আজ ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রথম পাতার একটি খবর এটি।

এতে বলা হয়েছে, বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো, যেমন— বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার আয়োজিত 'জুলাই ঘোষণাপত্র' পাঠ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বার্ষিকীকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন ওইদিন।

তবে অনুষ্ঠানে না যাওয়া দলগুলোর নেতারা বলেন, তাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ত করা হয়নি বলে তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে 'ফ্যাসিবাদী' আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আনার বদলে বিভাজন সৃষ্টির নীতি অনুসরণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর সর্বশেষ উদাহরণ, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলকে বাদ দেওয়া। আমাদেরও বাদ দেওয়া হয়েছে, তাই আমরা কেবল দর্শক হিসেবে সেখানে যেতে পারি না।

বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলোর নেতারাও এই একই অনুভূতি প্রকাশ করেন।

'জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানের তপশিলে, অভ্যুত্থানকারীরা পাবেন আইনি সুরক্ষা' —আজ দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংস্কারকৃত সংবিধানের তপশিলে যুক্ত করবে আগামী নির্বাচনে গঠিত সরকার। ঘোষণাপত্রে অভ্যুত্থানের শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রয়েছে অভ্যুত্থানকারীদের আইনি সুরক্ষা।

গতকাল মঙ্গলবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় রাজনৈতিক নেতাদের পাশে নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২৮ দফা সংবলিত এই ঘোষণাপত্রের প্রথম ২১ দফায় অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। পরের সাতটি দফায় আগামী দিনের করণীয় রয়েছে।

বিএনপি খসড়ায় যে মতামত দিয়েছিল, এর প্রতিফলন রয়েছে ঘোষণাপত্রে। দলটির অন্যতম প্রধান মতামত ছিল, ঘোষণাপত্র শুরু করতে হবে একাত্তরের ২৬শে মার্চ দিয়ে এবং সেখানে পঁচাত্তরের সাতই নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের স্বীকৃতি থাকবে।

জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের দাবি ছিল, ঘোষণাপত্র সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাখতে হবে।

এনসিপি সাতচল্লিশের দেশভাগ, আওয়ামী লীগের মিত্র দলগুলোরও ভূমিকা ঘোষণাপত্রে রাখতে চেয়েছিলো।

জামায়াতের দাবি ছিল, ঘোষণাপত্রে দলটির নেতাদের বিচারকে রাজনৈতিক হত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।

দু'টি দলই মতামত দিয়েছিলো, অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায়ে নয়, জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ে গঠিত হয়েছে, তবে তা ঘোষণাপত্রে নেই।

Election in February. বা 'ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন'— ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ দেশের প্রায় সব পত্রিকার প্রধান শিরোনাম আজ এরকমই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মূল ঘোষণা ছিল এটিই।

তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে যেন নির্বাচন আয়োজন করা যায় সেজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দেওয়া হবে।

‘আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করবো। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন’-ভাষণে বলেন তিনি।’

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে সেজন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে আগামীকাল থেকে আমরা সকলেই মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করব।

নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য দল।

বিএনপি বলেছে, এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সকল দোদুল্যমানতা কেটে গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল সন্ধ্যার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন।

ওই ভাষণের পর গুলশানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। একটি জুলাই ঘোষণাপত্র, আরেকটি জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা দুটোকেই স্বাগত জানাচ্ছি।

গণ-অভ্যুত্থানের শহীদেরা 'জাতীয় বীর'— দৈনিক প্রথম আলো'র দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম।

এতেও গতকাল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে হাজারো সাধারণ মানুষ উপস্থিতিতে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের 'জুলাই ঘোষণাপত্র' পাঠ করার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রে ২৮টি দফা রয়েছে। এর মধ্যে শেষ দফায় বলা হয়েছে, পাঁচই অগাস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।

ঘোষণাপত্রের ২৪ নম্বর দফায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের 'জাতীয় বীর' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্র–জনতাকে প্রয়োজনীয় সব আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

ঘোষণাপত্রে আরো বলা হয়েছে (২৭ নম্বর দফা), 'বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে

ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করেছে এক-এগারোর সরকার— বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর।

এখানে বলা হয়েছে, 'এক-এগারোর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থা শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করেছে' — জুলাই ঘোষণাপত্রে এমনটা উল্লেখ থাকলেও সেই এক-এগারোর সরকারকেই বৈধ এবং সংস্কারের পথ সুগমকারী হিসেবেই দাবি করে আসছেন ওই সরকারসংশ্লিষ্ট অনেকে।

সেই সঙ্গে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবেও মূল্যায়ন করেছেন এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং সমন্বয় কমিটির সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল বিকালে ঘোষণা করা জুলাই ঘোষণাপত্রের ছয় নম্বর দফায় বলা আছে, দেশী-বিদেশী চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় এক-এগারোর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়।

এর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, 'এক-এগারোর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে!' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ স্ট্যাটাস তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল, তাতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১— সংবাদ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এই খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।

আহতদের এখন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দগ্ধরা জানান, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তারা। এসময় শোভাবর্ধনের জন্য সেখান অনেক বেলুন ফোলানো ছিল। সেগুলো উপস্থিত সবার হাতে হাতে দেওয়া হচ্ছিল।

তখনই একদল সেগুলো টানাটানি শুরু করে নিজের কাছে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। ঝলসে যায় আশপাশের অন্তত ১১ জন।

জানা গেছে, এদিন দুপুরে '৩৬ জুলাই উদযাপনের অংশ হিসেবে 'ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন' কর্মসূচি চলছিলো। সেখানে হেলিকপ্টার আকৃতির অনেকগুলো গ্যাস বেলুন ওড়ানো হয়।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে 'স্বৈরাচারের পলায়নের' প্রতীকী হেলিকপ্টার হিসেবে সবুজ রঙের বেলুন ওড়ানো হচ্ছিল। একগুচ্ছ বেলুন ওড়ানোর পর মুহূর্তেই সেটি বিদ্যুতের তারে লেগে আগুন ধরে যায়।

তখন স্টেজে গান থামিয়ে সবাইকে সরে যেতে বলা হয়। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্সে নিতে দেখা যায়।

১৯৭১ স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, ২০২৪ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ—দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার একটি খবর। এটি মূলত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি বক্তব্য।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে জাতির উদ্দেশে ভার্চুয়ালি দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টরা কোনো পেশার মানুষকে গুলির নিশানা থেকে রেহাই দেয়নি। দেড় হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ। শত শত সন্তান, ভাই-বোন চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তবু পলাতক ওই ফ্যাসিস্ট চক্রের মনে এখনো কোনো অনুতাপ-অনুশোচনা নেই।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সাল ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ। আর ২০২৪ সালে ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ... আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ২০২৪ সালের এই দিনে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। স্বাধীনতা, গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের জন্য দিনটি আনন্দের। ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ ভোলেনি। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদেরও বাংলাদেশ ভুলবে না। ১৯৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা অর্জন, স্বাধীনতা রক্ষা, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন এভাবে ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে লাখো মানুষ শহীদ হয়েছেন।

কক্সবাজারে এনসিপি নেতারা, নানা আলোচনা—আজ মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনের দিনে হঠাৎ কক্সবাজারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতার সফর নিয়ে আলোচনা নিয়ে এই প্রতিবেদন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান এনসিপি'র নেতারা।

পাঁচ নেতা হলেন—দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।

বিমানবন্দর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে সরাসরি কক্সবাজারের ইনানীস্থ হোটেল সি-পার্লে পৌঁছান তারা। তখনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে 'গোপন বৈঠক' করছেন এনসিপি নেতারা।

এই খবরে হোটেলের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি'র স্থানীয় নেতারা। যদিও পরে পরিষ্কার হয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নেই।

এছাড়া এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি কাটাতে তারা সেখানে যান।

তবে অনেকে প্রশ্ন করেছেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা বিজয়ের বার্ষিকীর দিনের এই সফরের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা।

কারও সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে এনসিপি'র মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে দেখা করতে নয়, হুট করেই আমরা ঘুরতে এসেছি। পদযাত্রা কর্মসূচির ধকল সামলাতেই সাগরপাড়ে একটু বিশ্রাম নিতে এসেছি। অথচ এখন দেখছি, এখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে গুজব রটেছে।

তিনি এটিকে 'মিডিয়া প্রোপাগান্ডা' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা থাকলে আমরা ঢাকাতেই করতাম। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা 

দৈনিক সরোবর/এএস