ঢাবি ক্যাম্পাস থমথমে
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৪, ০২:০১ দুপুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। শিক্ষার্থীদেরও সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, আর্মড ফোর্সের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে বিজিবির গাড়ি। এখনও ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে ছাত্রলীগের কোনও নেতাকর্মীকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। সব মিলে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বুধবার সকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিন ক্যাম্পাসে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বেলা ১২টার পর পরই আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে প্রথমে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের পুলিশ সরিয়ে দেয়। পরে তারা ভিসি চত্বরে অবস্থান নেন। তারা বলছেন, কোটার বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাস ছাড়বো না। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শহীদুল্লাহ হলের দিক থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল টিএসসিতে জমায়েত হতে চাইলে পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও শোনা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে নিউমার্কেট ও ঢাকা মেডিক্যালের দিকে চলে যান। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ছাত্ররা টিএসসিতে একত্রিত হতে চেয়েছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিতে সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করেছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও ভেতরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। নীলক্ষেতের দিকে ঢাবির প্রবেশপথ ‘মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ’ থেকে টিএসসি পর্যন্ত একটু পর পর বিরতি দিয়ে বিজিবি সদস্যরা দলবেঁধে অবস্থান করছেন। এসময় তাদের সঙ্গে জলকামান, রায়ট কারও দেখা গেছে।
ক্যাম্পাসে না থাকলেও শাহবাগ মোড়ে যুবলীগের কর্মীদের মিছিল নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগেরও কিছু নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রোকেয়া হলের ভেতর থেকে নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। তাদের বলতে শোনা যায়, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন’ ‘কেন হল বন্ধ করা হলো?
১২টার দিকে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের’ ব্যানারে একটি মিছিল শাহবাগ থানায় যায়। সেখান থেকে আটক দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে নিয়ে মিছিলটি আবার কলাভবনের দিকে যায়। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বক্তব্যও দেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ব্যাগ নিয়ে বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। রোকেয়া হল থেকে পুলিশের পাহারায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বের হতে দেখা যায়।
দৈনিক সরোবর/এএস