add

ঢাকা, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

শুক্রবার পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

সরোবর প্রতিবেদক 

 প্রকাশিত: জুলাই ০৩, ২০২৪, ০৫:৩৩ বিকাল  

পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে শুক্রবার (৫ জুলাই)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাপনী অনুষ্ঠানের ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ অনুষ্ঠানের ব্যয় অর্থ ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকার ওপরে।

সেতুর মাওয়া প্রান্তে ওই সমাবেশ হবে বলে মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শেষে তিনি বলেন, গত ৩০ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সমাপ্তি উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

যেহেতু হাতে সময় কম, তাই এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য কাজগুলো সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুলশাহানা ঊর্মী জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৩ টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ‘সুধী সমাবেশ’হবে, সেখানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর দুদিন পর সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

এরপর থেকে গত দুই বছর সেতুর উপর দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা।

প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শেষে কথা বলছেন মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান।

৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মিত হয়েছে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৭ সালের ২৮ অগাস্ট পদ্মা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একনেক। তখন প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সেতু কাজ পুরোদমে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়ে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। দায়িত্ব পায় নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মাউনসেল লিমিটেড।

২০১০ সালের ১১ এপ্রিল মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান করে সরকার। পরের বছর ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি রেলপথ যুক্ত করে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় পদ্মা বহুমুখী সেতু সংশোধিত নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক।

এরপর ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের শুরুতে বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরে যায়।

সেই অভিযোগকে ভিত্তি ধরে সমালোচনা হয় সরকারের। যদিও পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। কানাডার আদালতেও এই সংক্রান্ত মামলাটি প্রমাণ করা যায়নি।

দৈনিক সরোবর/এএল