add

ঢাকা, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

কোটা বাতিলের দাবিতে অবরুদ্ধ শাহবাগ

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন । 

তাদের দাবি, হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করে যাবে। 

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নীলক্ষেত সায়েন্সল্যাব হয়ে শাহবাগে এসে তারা অবস্থান নেন। 

এর আগে পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে হলপাড়া ঘুরে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ মোড়ে যায়।

গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ এই কোটা পদ্ধতি সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি অবিচার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়ার পর গত ৫ জুন সেই কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এরপর থেকেই সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।

দৈনিক সরোবর/এমএস