ঢাকা, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

ব্যাংকে টাকা থাকলে গুনতে হবে বাড়তি শুল্ক

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০৯:০১ রাত  

আর কয়েকদিন পরই জাতীয় সংদে পেশ করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। এবারের বাজেটে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। যদিও রাজস্ব আহরণের দায়িত্বে থাকা এনবিআরের লক্ষ্য ধনিক শ্রেণি।

ধনীদের কাছ থেকে অধিক রাজস্ব আদায়ের বিবেচনায় আসছে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে ১০ লাখ টাকার ওপর থাকা স্থিতিতে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকার কম জমায় আবগারি শুল্ক আগের মতো থাকবে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১ লাখ থেকে পাঁচ লাখ কিংবা পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক আগের মতো রাখার প্রস্তাব রয়েছে। তবে আমাদের টার্গেট ধনিক শ্রেণি, যাদের সঞ্চয় ১০ লাখ টাকার ওপরে হবে। সেখানে কয়েকটি স্তর করে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এনবিআর সূত্র বলছে, বর্তমানে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতিতে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হয় না। ১ লাখ থাকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা এবং পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এই দুটি স্তরে পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

মূল পরিবর্তন হবে ১০ লাখ টাকার পর থেকে। বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত স্তরটি ভেঙে দুটি স্তর করা হচ্ছে। যেমন- ১০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গচ্ছিত টাকায় আগের মতোই তিন হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হবে। আর ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ হতে পারে।

সূত্র আরো জানায়, এক কোটি টাকার পরে আরো দুটি ধাপ করা হচ্ছে। যেমন- ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান স্তরটি ভেঙে ১ কোটি টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা এবং ২ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব থাকতে পারে। বর্তমানে ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়।

অন্যদিকে কোনো আমানতকারীর ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার যদি স্থিতি ৫ কোটি টাকা অতিক্রম করে, তাহলে সেই আমানতের ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে। যেখানে আবগারি শুল্কের হার ছিল ৪০ হাজার টাকা।

দৈনিক সরোবর/এএস